ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার জন্য সুদিন আসছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার জন্য সুদিন আসছে’ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ অন্যরা

বরিশাল: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার জন্য সুদিন আসছে। পদ্মাসেতু চালু হলে এ অঞ্চলে দ্রুত উন্নয়ন হবে।

জিডিবিতে দেড় থেকে দুই শতাংশ জাম্প করবে তাৎক্ষণিকভাবে। অর্থাৎ এ অঞ্চল এগিয়ে যাবে কয়েক ধাপ। ভাঙ্গা থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেল প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আছে। পায়রা বন্দরের প্রয়োজনেই রেললাইন হতে হবে। এছাড়া মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দিন দিন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নিজস্ব প্রয়োজনে সরকারের নির্দেশে জনশুমারি করা হয়। এ জনশুমারি প্রতি ১০ বছর পর পর করা হয়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশ এটি করে। যদি আমি আমার নিজের অবস্থান ও শক্তি সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে তো কোনো পরিকল্পনা বিবেচনা করতে পারবো না। বিশেষ করে কোথায় কতো মানুষ বসবাস করে সেটি সম্পর্কে না জানলে সুষম পরিকল্পনা ও ন্যায় বিচার করা সম্ভব হয় না। সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য ন্যায় বিচার করা। আশ করি, সবার সার্বিক সহযোগিতায় একটি চমৎকার জনশুমারি করতে পারবো।

বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।  

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ এর প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দীন আহাম্মদ ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পাসকৃত ‘পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩' অনুযায়ী ‘আদমশুমারি ও গৃহগণনা’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ করা হয়। ১০ বছর পর্যাবৃত্তি অনুসরণপূর্বক দেশে পরবর্তী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

দেশের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা যথাক্রমে শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, আবাসন, সুপেয় পানি সরবরাহ, নিরাপত্তা ইত্যাদি পূরণের নিমিত্ত তথ্য-উপাত্তভিত্তিক নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নে জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১'-এর মাধ্যমে দেশের খানার সংখ্যা, খানায় বসবাসকারী সদস্যদের সংখ্যা, আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নিরুপণ করা হবে। এসব তথ্য দেশের সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এবারের শুমারিতে আইসিআর প্রশ্নপত্রের পাশাপাশি মাল্টি মোড (ট্যাব, পিক অ্যান্ড ড্রপ, টেলিফোন ইন্টারভিউ) পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া এবারই প্রথম বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের (প্রবাসীদের) এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। শুমারিতে একটি নির্দিষ্ট রেফারেন্স তারিখে প্রতিটি খানা ও খানার সদস্যদের গণনার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আগামী ২৫-৩১ অক্টোবর, ২০২১ দেশে ৬ষ্ঠ জনশুমারি অনুষ্ঠিত হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।