ফেনী: নিস্তব্ধ মেঘনা, নদীতে নেই কোনো জেলের নৌকা, দেখা মিলছে না জেলেদেরও। ইলিশ ঘাটের বক্সগুলো পরিষ্কার।
মাছঘাট এলাকা যেন এ নিস্তব্ধ রাতে পরিণত হয়েছে। এমন পরিবেশ দেখা গেছে লক্ষ্মীপুরের মতির হাট মেঘনার ঘাটে। যেখানে প্রতিদিন কোটি টাকার ইলিশ বেচা-কেনা হতো।
জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ আইন মেনে চলছে লক্ষ্মীপুরের ৬৫ হাজার জেলে। তারা নামছে না মেঘনার জলে। এতে সমৃদ্ধি হচ্ছে এ অঞ্চলের ইলিশ উৎপাদন। জেলেদের প্রতি সন্তুষ্ট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। এবার লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ২৫ হাজার মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যমাত্র পূরণ হবে বলে প্রত্যাশা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার। এদিকে গত ৯ দিনে ৫ জেলেকে ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩টি মামলা করা হয়েছে। যা গত কয়েক বছরের তুলনায় কয়েকগুণ কম। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। স্থানীয়ভাবে প্রচার করছে মাইকিং, লিপলেটসহ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানায়, এবার লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে ইলিশের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ২৫ হাজার মেট্রিক টন। ইলিশের অভয়াশ্রম ৬০ দিন। এদিনগুলোতে নদীর কূলে এসে ডিম দেয় মা ইলিশ। নিষেধাজ্ঞা সফল করতে পারলে লক্ষ্যমাত্র পূরণ হবে বলে প্রত্যাশা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। একশ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সব ধরনের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুতকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, ইলিশের উৎপাদন ও জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
এসএইচডি/এএটি