ঢাকা: সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনায় পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পাটনারশিপ) এবং সরকার টু সরকারসহ নতুন আর্থিক ব্যবস্থাপনাগুলো সমন্বিত করে ‘সরকারি ঋণ আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগে যে ঋণ ব্যবস্থাপনা ছিল, বাজেট কিংবা ফাইন্যান্সিং সিস্টেম ছিল সেটা অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। যেমন এখন পিপিপি আসছে, ইনভেস্টর ক্রেডিট, ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং যেটা এগুলোর জন্য আরেকটু প্রিসাইজ করা দরকার।
‘এখন পিপিপি, ইনভেস্টর ফাইন্যান্সিং, জিটুজি- সেগুলো আগের আইনে ছিল না। এগুলো নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সবার দায়-দায়িত্ব এবং এগুলোর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, রি-পেমেন্ট সিস্টেম সব কিছু ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এতদিন এগুলো বিধিমালা দিয়ে হ্যান্ডেল করা হতো। ’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৪৪ সালের পাবলিক ডেবট অ্যাক্ট ছিল, সেটা দিয়ে আমরা চলছিলাম। আইনটি সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন ও হালনাগাদ করে সরকারি ঋণ আইনের খসড়া হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার, সরকারি অর্থ, বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯ এর ২১ এর ধারার বিধান সাপেক্ষে বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ঘাটতি অর্থায়ন বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সরকারের গ্রহণ করা দেশীয়, বৈদেশিক উৎস থেকে দেশিয় ও বৈদেশিক মুদ্রায় গ্রহণ করা যে সুদ মুনাফা যুক্ত বা সুদ মুনাফা মুক্ত যে কোনো ঋণ/বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে পারবে।
খসড়া আইনে প্রয়োজনের নিরিখে সরকারি ঋণ সংগ্রহ প্রক্রিয়া, রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টির বিধান, সরকারি ঋণ অফিসের ভূমিকা নির্দিষ্টকরণ, শরিয়াভিত্তিক সরকারি সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধানাবলী অন্তর্ভুক্তকরণ প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বিলটিতে আইনের প্রাধান্য, পরিদর্শন, সরকারের ঋণ সম্পর্কে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার সংরক্ষণ ও দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সরকারের ঋণ কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত কোনো ব্যক্তি আইন ভাঙলে শাস্তি পেতে হবে। এ নিয়ে অভিযোগ আসতে হবে সঞ্চয় পরিদফতর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, বিলটি যদি পাস করা হয় তবে বাংলাদেশ সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর জন্য অধিকতর আধুনিক প্রক্রিয়ায় ঋণ সংগ্রহ, টেকসই ঋণনীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ঋণ কৌশলপত্র প্রস্তুত, ঋণের ঝুঁকি নিরূপণ, বাজেট প্রস্তুতসহ সরকারের প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন দায় হিসাব করার বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে। ট্রান্সপারেন্ট হয়ে যাবে এবং এক্সটেন্ডেড হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ