ঢাকা: স্বাধীনতার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে বাংলাদেশের পাশে আছে জাপান। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দেশ গঠনে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে আসা বিভিন্ন সহায়তার কথা উল্লেখ করে এমন মন্তব্য করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১৭ মার্চ) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ মন্তব্য করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, ৫০ বছর আগে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। বঙ্গবন্ধুকে জাপান সফরে আমন্ত্রণ করাটা ছিল আমাদের জন্য সম্মানের। সদ্য স্বাধীন দেশের তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে শুরু থেকেই জাপান পাশে ছিল, পাশে আছে।
বাংলাদেশ ও জাপান একে অপরের ভাই-ভাই উল্লেখ করে সুগা বলেন, আমি বুঝি যে, এটা বঙ্গবন্ধুর নিজের পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এমন একটি নকশায় করা, যা জাপানের সদৃশ্য। ঠিক যেমন আমরা একে অপরের ভাই ভাই। জাপান ও বাংলাদেশ উভয়ের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রয়েছে। দু’দেশের তৃণমূল পর্যায়ের নাগরিকদের মধ্যেও হৃদ্যতার সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার অল্পকিছুদিন পরেই ঘুর্ণিঝড়ে আক্রান্ত বাংলাদেশের জন্য জাপানের শিশুরা অনুদান সংগ্রহে কাজ করেছে। তেমনি ১০ বছর আগে শক্তিশালী ভূমিকম্পে আক্রান্ত জাপানের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই যমুনা বহুমুখী সেতু, ১০০ টাকা ব্যাংক নোটের প্রচলন এবং সোনারগাঁও হোটেল আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের স্বাক্ষী হয়ে আছে। বর্তমানে র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি), ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, মধ্যম আয়ের দেশ হতে বাংলাদেশের যে লক্ষ্যে রয়েছে জাপানের এ সহায়তা তা পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
আগামী ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ৫০ বছরে উন্নীত হবে উল্লেখ করে আগামীতেও বাংলাদেশের পাশে থেকে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২১
এসএইচএস/ওএইচ/