গোপালগঞ্জ: করোনার সংক্রামণ রোধে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রামসহ আশপাশের এলাকা বিশেষ ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকেলে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাকিবুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বুধবার (২৫ মে) সকাল থেকে তেলিভিটা গ্রাম বিশেষ লকডাউনের আওতায় আনা হয়।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, তেলিভিটা গ্রামের বিভাষ কির্ত্তনীয়া সাতপাড় বাজারে মোটর গ্যারেজ ব্যবসায়ী করোনা উপসর্গ ঠাণ্ডা-কাশি ও জ্বর নিয়ে মারা যান গত ২৩ মে। এরই জের ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলে, তারা স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানায়। পরে মৃত ব্যক্তির পরিবার ও মরদেহ দাফনে সংশ্লিষ্ট ৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। ২৬ মে ওই ৯১ জনের মধ্যে ২৩ জনের করোনা পজিটিভ আসে। পরে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এছাড়া ওই গ্রামের আরও ৮৭ জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের ফলাফল বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আসার কথা রয়েছে। এদের মধ্য থেকে আরও যদি কেউ শনাক্ত হয়ে থাকেন, তাদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার করোনা আতঙ্ক ও সংক্রমণ রোধে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড়ের সাপ্তাহিক হাট বন্ধ রেখেছেন সাতপাড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুজিত মণ্ডল।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাশেদুল রহমান বাংলানিউজকে জানান, লকডাউন চলাকালে সাতপাড় ইউনিয়নের হাট-বাজার এবং বৌলতলী ইউনিয়নের গান্ধিয়াশুর ও পাটকেলবাড়ী বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত জেলাটিতে ৩ হাজার ৭৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
এসআরএস