ঢাকা: সারা বিশ্বের সংঘাতময় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের শান্তি সেনাদের আত্মত্যাগ বিশ্বে সর্বজনস্বীকৃত বলে মন্তব্য করেছেন কোয়ালিশন অব লোকাল এনজিও’স, বাংলাদেশের (সিএলএনবি) চেয়ারম্যান হারুনূর রশিদ।
শুক্রবার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে সিএলএনবির উদ্যোগে এক শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হারুনূর রশিদ বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সামরিক ও পুলিশ সদস্য পাঠানো দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্বের ৫৪টি মিশনে প্রায় ২ লাখ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের গৌরব বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা কাজ করছেন। সংঘাতময় দেশে শান্তি স্থাপন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের ১৫১ জনকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। এজন্য তারা দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। আমরা এ শান্তিরক্ষী সেনাসহ শান্তিরক্ষা মিশনে মৃত্যুবরণকারী দেশের সব শান্তিসেনা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত-শান্তি কামনা করছি।
হারুনূর রশিদ বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের আত্মদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশন দ্যাগ হেমারসোন্ড জাতিসংঘ শান্তি পুরস্কার লাভ করেছে। আমরা আশা করি, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদানের জন্য বাংলাদেশ একদিন নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করবে।
শান্তি সমাবেশের উদ্বোধন করেন কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম বীরপ্রতীক। এতে আরও বক্তব্য রাখেন- ঐক্য ন্যাপ'র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী কে এম জাবির, কর্নেল (অব.) আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোসেন, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগম, সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বাবলু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২১
ডিএন/আরবি