ফরিদপুর: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মো. বরকত শেখ (২১) নামে এক যুবককে ধরে হাতকড়া লাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো থানা পুলিশ। এসময় ওই যুবক দুই পুলিশ সদস্যকে কিল-ঘুষি মেরে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার (০৫ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িরহাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের হাত থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া ওই যুবক পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ধুলঝুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও ধুলজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজামউদ্দিন ওরফে মঞ্জুর ছেলে। তবে এখন পর্যন্তু ওই যুবককে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বরকতের হাতে হাতকড়া অবস্থায় পুলিশ সদস্য মঞ্জুরকে ধরে রাখতে দেখতে পাই। এ সময় বরকতের বাবা-মা ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন। ঘটনার সময় লোকজন জড়ো হলে এক পর্যায়ে বরকত পুলিশের এসআই মঞ্জুর হোসেনকে কপালে ঘুষি মেরে দেয়। পুলিশ সদস্য মঞ্জুরকে ঘুষি মারা দেখে অন্য এসআই মো. জামাল উদ্দিন এগিয়ে আসলে তাকেও বরকত হ্যান্ডকাপ পরা হাত দিয়ে ঘুষি মারে। আমি জামালউদ্দিনকে নিয়ে স্থানীয় বেড়িরহাট বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার মারুফ সরদারের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করাই। কিছুক্ষণ পর শুনতে পাই হাতকড়া অবস্থায় মো. বরকত শেখ পালিয়েছেন। পরে কি হয়েছে বলতে পারেননি তিনি।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওয়াহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িরহাটি-ধুলজুড়ি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে তিনটি বিবাদমান পক্ষ মারামারি, ভাঙচুর করে আসছিল। সে কারণে ওই গ্রামে বেড়িরহাট বাজার চলাকালে তিন গ্রুপের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হওয়ার কথা শোনা যায়। এক পর্যায়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের আপন ভাতিজা বরকতের নামে ওই এলাকার একজনকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এ খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে র্পৌঁছে ওই যুবককে আটক করে হ্যান্ডকাপ পরায়। তখন বরকতের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপসহ তাকে ছিনিয়ে নেয়। তাকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২৮৪৯ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২১
এনটি