মাগুরা: পড়া না পারায় রাইসা (১০) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক সামছু উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শিশুটির অভিভাবক সিদ্দিক মীর শত্রুজিৎপুর পুলিশ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মাগুরা সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর মহিলা মাদ্রাসায় হেবজো বিভাগে পড়ে রাইসা। আহত শিশুটি বিষ্ণু গ্রামের রাহাত হোসেনের মেয়ে।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সদর উপজেলা বিষ্ণুপুর গ্রামে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলা মহিলা মাদ্রাসায় এমন ঘটনা ঘটে।
রাইসার নানা মীর মইন উদ্দিন বলেন, আমার নানতি ছোট থেকে ওর নানি এবং আমার কাছে থাকে। রাইসার মা-বাবা ঝিনাইদহ বসবাস করেন। বেশ কিছুদিন হল শিক্ষক সামছু উদ্দিনের বাড়িতে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলা মহিলা মাদ্রাসায় রাইসাকে ভর্তি করা হয়। সকালে রাইসা কোরআন শিক্ষার জন্য মাদ্রাসায় যায়। পড়া না পারায় শিক্ষক সামছু উদ্দিন আমার নানতিকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
আহত রাইসা কান্না করতে করতে বাড়িতে এসে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখায়। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক সামছু উদ্দিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে মাগুরা সদর থানার শুক্রজিতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দিয়েছি।
মাগুরা সদর থানার শুক্রজিতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর বিশারুল ইসলাম বলেন, বিষ্ণুপুর গ্রামে নিজ উদ্যোগে কোনো রেজিস্ট্রেশন ছাড়া বাড়িতে মহিলা মাদ্রাসা গড়ে তুলেছেন সামছু উদ্দিন। এখানে তিনি গ্রামের মেয়েদের কোরআন শিক্ষা দিয়ে থাকেন। সকালে রাইসা নামের একটি মেয়ে কোরআন শিক্ষার জন্য গেলে পড়া না পারায় বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে মাগুরা শুক্রজিতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নানা মীর মইন উদ্দিন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ফাঁড়ি পুলিশ বিষ্ণুপুর গ্রামের মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষকের বাড়িতে গেলে শিক্ষক পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শিক্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে যদি বাদী মামলা করেন মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২১
আরএ