নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) এসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগুন লাগার কারণ উদঘাটনের পাশাপাশি দোষীদের শনাক্ত করবে এ কমিটি। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন—রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত জাহান, জেলার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কলকারখানা অধিদপ্তরের জেলার একজন কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি ছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও কলকারখানা অধিদফতর আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনা তদন্তে সংস্থার পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর কারখানার ভেতর থেকে ৪৯টি দগ্ধ মরদেহ বের করে আনা হয়। মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসের চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে, এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।
আরও পড়ুন>>
>>>রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে ঢামেকে প্রতিমন্ত্রী
>>> রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: অর্ধশতাধিক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন
>>>নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেজান জুসের কারখানার আগুন, নিহত ৩
>>সেজান জুসের কারখানায় আগুন: কয়েকজন ঢামেকে ভর্তি
>>>রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় আগুন, নিহত ২
>>>১৫ ঘণ্টাও নেভেনি আগুন, ফায়ার সার্ভিসের ক্লান্তিহীন চেষ্টা
>>>জুস কারখানায় অতিরিক্ত দাহ্য পদার্থ থাকায় নিয়ন্ত্রণে আসছে না আগুন
>>>জীবিত নেই কেউ, প্রিয়জনের খবর পেতে স্বজনদের অপেক্ষা
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২১
এমজেএফ