হবিগঞ্জ: মাটি কাটার রোজগার ৩শ টাকা। এক হাজারে বিক্রি করেছেন পাঁচটি নতুন শাড়ি।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা জাহেরা বানু।
স্বামী মারা গেছেন আরও আগে, একার সংসার চালাতে ৮৩ বছর বয়সে এসেও করতে হয় ভারী কাজ।
শুধু জাহেরা খাতুনই না; বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরও ১৬টি পরিবার থেকে ১ হাজার ৭শ টাকা করে নিয়েছেন স্থানীয় খোকন মিয়া নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু টাকা দেওয়ার প্রায় তিন মাস হয়ে গেলেও বিদ্যুৎসংযোগ না পেয়ে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বৃদ্ধ জাহেরা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, গেল রোজার ঈদে ত্রাণ হিসেবে পাওয়া পাঁচটি শাড়ি বিক্রি করেছিলেন এক হাজার টাকায়। মাটি কেটে রোজগার ৩শ টাকা। ঘরে থাকা আরও সঞ্চয় মিলিয়ে খোকনকে দুই হাজার টাকা দেন তিনি। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি।
শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে গেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রাশেদা খাতুন, সায়েরা খাতুনসহ আরও কয়েকজন জানান, ১৬টি পরিবারের বাসিন্দা বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন। কেউ দুই হাজার। কেউ এক হাজার ৭শ। এরপর খোকন মিয়া ঘরগুলোতে মিটার বসানোর জন্য একটি করে বোর্ড স্থাপন করে দিয়েছেন। এরপর তিন মাস চলে গেলেও আর আসেননি। যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে খোকন মিয়া নিজেকে পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির ইলেক্ট্রিশিয়ান দাবি করেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মিটার ফিসহ আনুষাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে পরিবারগুলোর কাছ থেকে ১ হাজার ৭শ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সময় হলে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তারা বলেছেন ৫শ টাকা জামানত হিসেবে নেওয়া হয়। কিন্তু এর বেশি টাকা কাউকে দেওয়ার কথা না।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
এএটি