ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অপহরণের ৬ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক এক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২১
অপহরণের ৬ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক এক আটক বেলায়েত

মাদারীপুর: মাদারীপুরে অপহরণের ৬ ঘণ্টা পর এক কলেজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বেলায়েত খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।


 
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার কালিকাপুর থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়।  

গ্রেফতার বেলায়েত খান হোসনাবাদ গ্রামের রাজ্জাক খানের ছেলে। অপহৃত ওই শিক্ষার্থী মাদারীপুর সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।  

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে অপহরণ করে সাবেক স্বামী বাবু হাওলাদার (২৪)।

পুলিশ, অপহৃত শিক্ষার্থীর পরিবার এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে বাবু হাওলাদারের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়। বিয়ের আট দিনের মাথায় ওই শিক্ষার্থী বাবুকে তালাক দেয়। এরপর থেকে শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছিল অভিযুক্ত বাবু। ভয়ে মেয়েটিকে রাজধানী ঢাকার এক আত্মীয়ের বাসায় রাখেন তার পরিবার। বৃহস্পতিবার বাড়িতে আসে মেয়েটি। বিয়ের জন্য ওই মেয়েটির বাড়িতে মেহমান আসছে এমন খবরে সাবেক স্বামী বাবু দেশীয় অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। বাধা দিতে গেলে নারীসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবু ও তার সহযোগীরা।  

খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার কালিকাপুর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই পালিয়ে গেলেও বাবুর সহযোগী ও খালাতো ভাই বেলায়েত খানকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতেই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় বাবুকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে মামলা করেন।  

শুক্রবার দুপুরে বেলায়েতকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন মেয়েটির পরিবার ও এলাকাবাসী।

মেয়েটির বড় ভাই বলেন, আমার বোনের সঙ্গে বাবুর আগে বিয়ে হয়েছিল। পরে আমার বোন বাবুকে তালাক দেয়। কিন্তু বাবু এভাবে হামলা চালিয়ে আমার বোনকে অপহরণ করবে বুঝে উঠতে পারিনি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার দাবি করছি।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বেলায়েত নামে বাবুর এক সহযোগী গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি আসামিদের ধরতে চলছে অভিযান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।