বরিশাল: বরিশালের হিজলা উপজেলার আলোচিত নুরু বাবুর্চির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিহত নুরুর স্ত্রী খাদিজা বেগম নয় জনের নাম উল্লেখ করে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান জানান, মুলাদী ও হিজলা উপজেলার মধ্যবর্তী নয়াভাঙ্গুলী নদীতে স্থানীয়রা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে রাতে খাদিজা পরনের জামা ও লুঙ্গি দেখে তার স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা নুরু বাবুর্চীকে জবাই করে হত্যা করেছে। তার চোখ দুটি উপড়ে ফেলা হয়েছে। বাম হাতের কব্জিও ছিল বিচ্ছিন্ন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, নুরু বাবুর্চির বিরুদ্ধে হিজলা থানায় একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার গৌরনদী ইউনিয়নে মেঘনার দুর্গম চরে পালিয়ে থাকা অবস্থায় কয়েক মাস আগে তিন ছেলেসহ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে জামিন পায়।
এদিকে নিহতের স্ত্রী খাদিজা পুলিশকে জানান, শনিবার রাতে অজ্ঞাত কেউ বাড়ি থেকে তার স্বামীকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, নুরু বাবুর্চি ও তার ছেলেরা মোটরসাইকেলে প্রায়ই ঝটিকা গ্রামে ঢুকে প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে পালিয়ে যেত। গত এক বছরের মধ্যে তাদের হামলায় পঙ্গু হয়েছেন নুরুর আপন বড় ভাই দুলাল বাবুর্চি ও তার স্ত্রী, চাচা কাঞ্চন বাবুর্চি ও তার ছেলে শহীদ বাবুর্চিসহ কমপক্ষে ৭ জন।
উল্লেখ্য, নুরু বাবুর্চির বাড়ি হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কাউরিয়া বাজার এলাকায়। তবে তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মুলাদী কাজিরহাট এলাকায় শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
এমএস/কেএআর