ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

'ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো খুবই সক্রিয়, সর্তক থাকতে হবে'

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
'ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো খুবই সক্রিয়, সর্তক থাকতে হবে' সালমান ফজলুর রহমান।

ঢাকা: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো খুবই সক্রিয় মন্তব্য বলে করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

বুধবার (১৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, যারা ষড়যন্ত্রটা করেছে তারা এখনো কিন্তু অ্যাকটিভ আছে। আমাদের সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। এমনভাবে আমাদের কাজ করতে হবে যাতে তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন আমরা তাদের প্রতিহত করতে পারবো।

তিনি বলেন, যে ষড়যন্ত্রের কারণে আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি সেই ষড়যন্ত্র এখনো অ্যাকটিভ। যারা উনার হত্যার পেছনে ছিলেন, তারা কিন্তু কোনোদিন মেনে নিতে পারে নাই যে বাংলাদেশ একটা স্বাধীন দেশ হবে।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যা প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, পলিটিক্যাল অ্যাসাসিনেশন অনেকগুলো হয়েছে। কিন্তু এভাবে নির্মমভাবে পুরো পরিবারকে হত্যা করা ইতিহাসে নাই। আমি মনে করি এটা ইনটেনশনালি করা হয়েছে। কারণ ষড়যন্ত্রকারীরা, যারা ঘটনাটা ঘটালো তারা জানতো শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে তাদের পারপাস সার্ভ হবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে পারসনালিটি এবং যে কমান্ড ছিল, তারা জানতো যে উনার পরিবারের যে কেউ বেঁচে থাকলে, এটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা জানতো পুরো পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে না হলে কেউ যদি বেঁচে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে সে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করবে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা, সেই সোনার বাংলা গড়ার কাজ করছেন।

শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ যদি নিতেই হয় সব থেকে ভালো হবে, আমরা যদি উনার সোনার বাংলার স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করি। সেটার জন্য উনি কাজ করতেছেন। আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা উনার হাতকে শক্তিশালী করুন।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ১৯৭৫ বিষয়ে যদি কখনো আলোচনা হয় তাহলে আমার শুধু মনে হয় আমাদের বেদনাটা আত্মস্থ করা এবং জাতিগতভাবে আমরা কতটুকু নির্মম হয়েছিলাম সেটাকে যদি আমরা অনুধাবণ করতে পারি, সেটাতে যদি আমরা লজ্জিত হতে পারি তাহলে হয়তো আমাদের জন্য ভবিষ্যতে আরো ভালো হবে।  

তিনি বলেন, আপনারা একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখবেন বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করার জন্য ২১ বছর লেগেছে। এর চাইতে লজ্জার আর কোনো বিষয় আছে বলে আমার কাছে মনে হয় না।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান।

পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে তাদের পরিবারের শহীদ সব সদস্য ও ঘনিষ্ঠ জনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
এমইউএম/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।