ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সেতুতে ধাক্কার কারণ ‘নেগলিজেন্স’: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
সেতুতে ধাক্কার কারণ ‘নেগলিজেন্স’: মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদ্মাসেতু। ছবি বাংলানিউজ ফাইল ফটো

ঢাকা: কনফিডেন্স এবং নেগলিজেন্স, এই ক্ষেত্রে নেগলিজেন্স থেকে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়রুল ইসলাম, যিনি এর আগে সেতু বিভাগেরও সচিব ছিলেন।
 
প্রমত্তা পদ্মা নদীতে সেতুর পিলারে ফেরির কয়েক দফা ধাক্কা লাগার কারণ নিয়ে একথা বলেছেন তিনি।


 
বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সচিব সভা নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মাতে হঠাৎ করে এমন কারেন্ট (স্রোত) সৃস্টি হয়, যে কারেন্টের সময় কারো পক্ষে কন্ট্রোল করা সম্ভব না। প্রথম যেদিন ধাক্কা খেল সেদিন কিন্তু আমি নামতে পারিনি, কারেন্ট আর রোলিং এতো বেশি ছিল।
 
তিনি বলেন, প্রকৌশলীসহ সবাইকে যেভাবে ক্যাপাসিটি ডেভলপ করা হয়েছে তা পুরো প্রকল্পের দুই শতাংশই নয়, ক্যাপাসিটি ডেভলপ না করলে সেতু নির্মাণ সম্ভব হতো না।
 
‘অনেক সময় মাস্টারটা রুট ফলো করেন না। তিনটি ঘটনা ঘটেছে রুট ফলো না করার কারণে। তিনটি ফেরিই উজানে না গিয়ে ক্রস বরাবর এসেছে। এ জন্য তিনটি ঘটনা ঘটেছে। ’
 
বিআইডব্লিউটিএ’র সারেংরা বাংলাদেশের সব থেকে এক্সপার্ট সারেং উল্লেখ করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দুইটা জিনিস থাকে- কনফিডেন্স যে হয়ে যাবে এবং আরেকটা নেগলিজেন্স। এই ক্ষেত্রে নেগলিজেন্সি থেকে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।
 
সাবেক এই সেতু সচিব বলেন, পিলারের মাঝে ১৫০ মিটার ফাঁকা রয়েছে, ফেরি ১৫ মিটার, ফেরির ১০ গুণ। ২৫ ফুট করে পাইল ক্যাপ বাদ দিয়ে ২০ মিটার বাদ দেওয়া হলেও ১৩০ মিটার থাকে। ফেরি হলো ১৫ মিটার। ৬-৭টা ফেরি গেলেও বাড়ি খাওয়ার কারণ নেই। এজন্য আমরা সবাই বসে রুট ঠিক করে দিয়েছি। এরপরেও একসিডেন্ট ইজ একসিডেন্ট।

'তিনটিতে আমরা দেখলাম নেগলিজেন্সি ছিল, যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, ক্যাপে ধাক্কা লাগবে। ৬২ মিটার (১৮৫-১৯০ ফিট) মাটি এক সময় সরে যেতে পারে সেটা মাথায় রেখেই ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। এসব ধাক্কাতে কিছুই হবে না। '
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে মাঝেমধ্যে দুই-তিন দিন করে ফেরি বন্ধ থাকে। অন্য কোনো কারণে না। উজানে খুব বেশি বৃষ্টি হলে ফেরি বন্ধ থাকে, কিছুই করার থাকে না। ছোট গাড়ি নিয়ে ফেরি যাচ্ছে। ১৮টি ফেরির মধ্যে ৭-৮টি ফেরি চলতে পারছে। বাকিগুলো চলতে পারছে না।
 
পাটুরিয়ায় ঘাটে শুধু যমুনা, এজন্য সুবিধা আছে। কিন্তু এখানে পদ্মায় এবং যমুনা মিলে রোলিংটা বেশি বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
এমআইএইচ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।