ঢাকা: শুক্রবার (২০ আগস্ট) জুমার নামাজের পর থেকে ভিড় জমতে শুরু করে রাজধানীর ১১ নম্বর ভাষানীর মোড় এলাকায়। সরকারি নির্দেশনা মেনে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পল্লবী থানা এলাকায় সীমিত পরিসরে বের করা হয় তাজিয়া।
এদিন দুপুর আড়াইটার পর থেকেই রাজধানীর ভাষানী মোড়ের আশপাশের এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করেন সুন্নি সম্প্রদায়ের অনুসারী। তাদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসবে মুসলমানরা যোগ দেন।
পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধানের পাশাপাশি তাদের হাতে ছিল কালো, সবুজ, লাল রঙের নিশান। বিকেল ৩টার দিকে তাজিয়া মিছিল মিরপুর ১১ নম্বর ভাষানী মোড় থেকে মিল্লাত ক্যাম্প, ১২ নম্বর সি-ব্লক, ডি-ব্লক হয়ে কালশী কবরস্থানের সামনে এসে সাড়ে ৪টার দিকে শেষ হয়।
তাজিয়া মিছিলে দুরুদ পড়তে পড়তে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে। মিছিলে খাওয়ানো হয় শরবত। এ সময় অনেকেই ইমাম হোসাইন (রা.)-এর প্রতীকী সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেইসঙ্গে অনেকে নিজ পরিবারের সদস্যদের কবর জিয়ারত করেন।
কুর্মিটোলা ক্যাম্প থেকে তাজিয়া মিছিলে আসা মো. রানা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিমরা বিকেল বেলা তাজিয়া মিছিল নিয়ে বের হয়েছি। এবার আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাজিয়া মিছিল করছি। সন্ধ্যার পর কিছু তাজিয়া মিছিল বের হবে। ওইসব মিছিলে ঢোল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে দেখানো হতে পারে খেলা। আমরা হাসান-হোসেনকে আমাদের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি। প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা মিছিল নিয়ে বের হয়েছি।
কালশী ই-ব্লকের বাসিন্দা মাহমুদ আলম বলেন, মহররমের সময় ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি বাপ-দাদারা মিছিল করতেন। ঢোল বাজাতেন, তাজিয়া বানাতেন বিভিন্ন ধরনের খেলাও দেখাতেন। এভাবেই পালন করতেন মহররম। বিগত দিনের মতো করে মহররম পালন করতে পারছি না আমরা। করোনা ভাইরাসের কারণে আগের মতো জাঁকজমকপূর্ণ তাজিয়া মিছিল হয় না। এবার সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা তাজিয়া মিছিল নিয়ে বের হয়েছি।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রাত ৯টার মধ্যে মহররমের সব কার্যক্রম শেষ করতে বলা হয়েছে বিহারীদের। ঢোল বাজানো, খেলা দেখানো ও তাজিয়া মিছিল করতে বারণ করা হয়েছে। নিষেধ করার পরও ঢোল বাজানোর ঘটনায় কিছু এলাকা থেকে ঢোল জব্দ করা হয়েছে। আশুরাকে কেন্দ্র করে পল্লবী এলাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২১
এমএমআই/আরবি