ঢাকা, বুধবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

১২ জেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
১২ জেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা সংগৃহীত ছবি

ঢাকা: দিনে দিনে দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ১২ জেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত বাড়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রোববার (২৯ আগস্ট) বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

পদ্মা ও যমুনার পানি সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ব্রহ্মপুত্রের পানিও ফুলে ফেঁপে উঠে দুই কূল ছাপিয়ে যাচ্ছে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরিয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে ডুবে গেছে।

বর্তমানে আটটি নদ-নদীর পানি ১৮টি স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পাটেশ্বরীতে দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার, চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি ২০ সেন্টিমিটার, বাহাদুরাবাদে যমুনার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দিতে ২২ সেন্টিমিটার, কাজিপুরে ৭ সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জে ২৭ সেন্টিমিটার, মথুরায় ২ সেন্টিমিটার, আরিচায় ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া বাঘাবাড়িতে আত্রাইয়ের পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, এলাসিনে ধলেশ্বরীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার, গোয়ালন্দে পদ্মার পানি ৪৩ সেন্টিমিটার ও সুরেশ্বরে ২ সেন্টিমিটার এবং চাঁদপুরে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে যমুনার পানি সোমবারের মধ্যে পুরাবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, গঙ্গা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা রোববার বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার কুশিয়ারা ব্যতীত প্রধান নদীসমূহে পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে শনিবার ৫৩টিতে পানির সমতল বেড়েছে। কমেছে ৫২টি স্টেশনের পানির সমতল। অপরিবর্তিত আছে চারটি স্টেশনের পানির সমতল। আর ১৪টি স্টেশনের পানির সমতল বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতি বিস্তৃত হওয়ার পেছনে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃষ্টিপাত দায়ী। ভারতের দার্জিলিং, সিকিম, আসাম, মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। সেখানে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।