যশোর: যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সপ্তাহের ব্যবধানে ফের মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান শিমুল।
মামলার অভিযোগে চাঁদাবাজি, ফাঁকা চেক ছিনতাই ও জোরপূর্বক নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আদালতের বিচারক গৌতম কুমার মল্লিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুারো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সঞ্জীব কুমার সরকার।
আসামিরা হলেন- কেশবপুর উপজেলার মধ্যকূল গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রাজীব খান, আবদুল লতিফের ছেলে জুয়েল হোসেন, গনি শেখের ছেলে জামাল শেখ, নজরুল ইসলামের ছেলে বাপ্পী, আবদুল আজিজ মোড়লের ছেলে মাহাবুবুর রহমান জুয়েল, একই উপজেলার ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের রহিম মোড়লের ছেলে আরিফুর রহমান ও সামছুদ্দিন মোড়লের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ তিনজনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন ডিস (ক্যাবল) ব্যবসায়ী খন্দকার মফিদুল ইসলাম। যদিও গত ২৮ আগস্ট প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে শান্তিপ্রিয় মানুষ দাবি করেন মেয়র রফিকুল ইসলাম।
বাদী মিজানুর রহমান শিমুলের অভিযোগ, আসামিরা কেশবপুর থানার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও আতঙ্কবাজ ত্রাস সৃষ্টিকারী। আসামি রফিকুল ইসলাম গডফাদার হিসেবে পরিচিত। তার হুকুম ও নেতৃত্বে সমস্ত অপকর্ম সংগঠিত হয়। কেশবপুর বাজারে বাদীর আল্লাহর দান ফার্মেসি রয়েছে। আসামিরা বিভিন্ন সময়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা বাদীকে কেশবপুর বাজারে ব্যবসা করতে দেবে না ও খুনের হুমকি দেয়। তাদের কথায় কর্ণপাত না করায় আসামি রাজীব খান দুই লাখ টাকা নিয়ে আসামি রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। বাদী আসামি রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা না করায় ও চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়। এরপর গত ২৫ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদীর ফার্মেসিতে হামলা চালায় আসামি রাজীব খান, জুয়েল হোসেন, জামাল শেখ ও বাপ্পী। এ সময় বাদীকে পিটিয়ে জখম করে ক্যাশবক্স থেকে ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামিরা। এক পর্যায়ে অপর আসামি মাহাবুবুর রহমান জুয়েল বাদীর ফার্মেসির ড্রয়ারে থাকা সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখার চেক বইয়ের তিনটি ফাঁকা চেক (অলিখিত) জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। আসামি রফিকুল ইসলামের হুকুমে বাদীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও চাবি আসামি জুয়েল হোসেন কেড়ে নেয়। এরপর আসামি মাহাবুবুর রহমান জুয়েল বাদীর গলায় রামদা ধরে তিনটি একশ টাকার নন জুড়িসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। বাদীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা বাদীর মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আসামিরা দম্ভোক্তি করে বলে চাঁদার ৩০ হাজার টাকা নিয়েছি, বাকি এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল, ব্ল্যাঙ্ক চেক ও নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ফেরত আনবি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২১
ইউজি/আরবি