ঢাকা : রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লাইন বিষ্ফোরণে রেনু বেগম (৩৭) নামে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মোট পাঁচজন মারা গেলেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, মিরপুরের দুর্ঘটনায় রেনু বেগমের শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় মৃত্যু হয় রিনা বেগমের (৫০)। ওই রাতেই ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে মৃত্যু হয় রিনার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫) ও গ্যাস লাইনের মিস্ত্রী সুমনের (৪০)। আর শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান রওশনারা (৭০)।
এ ঘটনায় নাজনীন (২৫) ২৭ শতাংশ ও তার মেয়ে শিশু নাওশীন (৫) ১৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন।
গত বুধবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে-১১ নম্বর সেকশনের একটি বাসার নিচতলায় গ্যাস লাইনের গোলযোগ থেকে বিষ্ফোরণে নারী-শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হন।
নিহত শফিকুলের ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের, ১১ নম্বর রোড, সি-ব্লক, ৯ নম্বর লাইনের ছয়তলা বাড়িটি তাদের নিজেদের। বাড়ির নিচতলায় গ্যাসের লাইনে লিকেজ ছিল। দুর্ঘটনার দুই দিন আগেও লিকেজ মেরামত করা হয়। কিন্তু গত বুধবার (২৫ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে গ্যাস লাইনের গোলযোগের কারণে বিষ্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন সাত জন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
এজেডএস/এমএমজেড