সিলেট: দেশ স্বাধীনের আগে থেকেই জমির আইল দিয়ে চলাচল করতেন তিন গ্রামের বাসিন্দারা। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও যাতায়াত করতেন সড়ক বিহীন প্রান্তর দিয়ে।
জৈন্তাপুরের শার্শীছড়া হতে বাইরাখেল পর্যন্ত কোন রাস্তা ছিল না। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময় দাবি উঠলেও তা কেবল জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।
অবশেষে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিশেষ বরাদ্দে তিনগ্রামবাসী চলাচলের জন্য কাঁচা রাস্তা তৈরী করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তাটি পাকাকরণেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম,ফখরুল ইসলামসহ অনেকে বলেন, ‘উপজেলার শার্শীছড়া হতে বাইরাখেল পর্যন্ত কোনো রাস্তা ছিল না। জমির আইল দিয়ে তিন গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দারা যাতায়াত করতাম। শিক্ষার্থীরাও জমির আইল দিয়ে চলাচল করতেন। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার হয়নি।
তারা বলেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় রাস্তাটি নির্মানের দাবি জানিয়েছিলাম। তিনি কথা রেখেছেন। নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদের প্রচেষ্টায় রাস্তাটি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরের মাথায় দেড় কিলোমিটারের কাঁচা রাস্তা পেয়েই খুশি সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। অন্তত চলাচলের চরম দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাওয়া গেলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের হর্নি, বাইরাখেল ও নয়াগ্রামবাসীর চলাচলের কোনো রাস্তা ছিল না। গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য প্রায় দেড় কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এই সড়ক ধরে লালাখাল জিরো পয়েন্টে গিয়ে উঠা যাবে।
এরইমধ্যে গোয়াবাড়ী বাজার হতে বাইরাখলে বড় নয়াগাং নদীর মুখ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণেও টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই রাস্তাটির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে পাকাকরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে কাঁচা রাস্তাটি হওয়াতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সড়কটি ব্যবহার করে সারি নদীর মুখ পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া পর্যটনপ্রেমীদের জন্য রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে মনে করেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
এনইউ/এএটি