বেনাপোল (যশোর): শার্শায় নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর ইসরাফিল হোসেন (৩৭) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি কবর স্থান থেকে ইস্রাফিলের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
ইসরাফিল হোসেন শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে। তিনি শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরিতে দিন মজুরের কাজ করতেন।
আটকরা হলেন, শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের কাশিয়া ডাঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, একই গ্রামের নূর-মোহাম্মদের ছেলে আলম ও ইসমাইলের স্ত্রী মর্জিনা বেগম।
এর আগে, গত ২৭ আগস্ট রাতে ইসরাফিল নিখোঁজ হলে তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন শার্শা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মামলাটি হাতে নেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী রোজিনা জানান, ২৭ আগস্ট রাত ৮টার সময় মোবাইলে ফোন দিয়ে তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইস্রাফিলের সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল প্রতিবেশী মর্জিনার। এর সূত্র ধরে ওই নারী দেড় লাখ টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে হত্যা করে ইস্রাফিলকে। অভিযুক্ত নারীর স্বামী ও ভাই দুইজনে থাকেন বিদেশে। নানা কাজে ইস্রাফিলের বাড়ি যাতায়াত ছিল এ পরিবারের। ধারণা করা হচ্ছে, এ নিয়ে দ্বন্দ্ব দুই পরিবারের। তবে অভিযুক্ত সবাই গ্রেফতার হলে মূল কারণ সামনে আসবে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, হত্যায় অংশ নেয় বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার রহস্য প্রকাশ করবেন জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
এনটি