ভোলা: ভোলার উপকূলে নৌকা-ট্রলার তৈরির ধুম পড়েছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
একেকটি নৌকা তৈরি করতে গড়ে সময় লাগে ২০ থেকে ৩০ দিন বা তারও অধিক। রেন্ড্রি, নলকড়াই, নাটাই ও মেহগনি গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় এসব নৌকা।
এছাড়াও নৌকা-ট্রলার নির্মাণে তারকাটা, গজাল, পাতাং, আলকাতরা, রং ও কেরোসিন ব্যবহার হয়ে থাকে। হাতুড়ি-কাঠের শৈল্পিক ছন্দে কারিগররা এসব নৌকা নির্মাণ করেন। ইঞ্জিন হিসেবে বসানো হয় মেশিন, গিয়ার, সেফ পাখা ও সুকান।
একেকটি নৌকা-ট্রলার নির্মাণে গড়ে ৫ থেকে ১০ জন মিস্ত্রী অংশ নেন। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর নৌকায় ইঞ্জিন বসানো হয়, তারপর রং দিয়ে রোদে শুকানো হয়। শুকানোর পর নদীতে ভাসানো হয় নৌকা। একেকটি নৌকা নির্মাণে ধরন অনুযায়ী লাখ টাকাও খরচ হয়ে থাকে। বড় নৌকা-ট্রলার নির্মাণে কখনও আবার দুই থেকে চার লাখ টাকাও ব্যয় হয়ে থাকে। সমুদ্রগামী ফিশিং বোর্ট তৈরি খরচ তারও বেশি। নৌকা বা ট্রলার চালককে বলা হয় মাঝি।
কারিগররা জানান, নদীতে মাছ বেশি ধরা পড়লে নৌকা তৈরিও বেড়ে যায়। ফলে নৌকা তৈরির কারিগরদের অবস্থা এখন কিছুটা ভালো।
কারিগর মো.মাকসুদ বাংলানিউজকে জানান, গত ২০ বছর ধরে নৌকা তৈরির কাজ করছি। এখন কাজের চাপ কিছুটা বেশি। সবাই নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত। একটি নৌকা তৈরিতে ২০ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। শীতের সময় নৌকার তৈরির কাজ কিছুটা বেড়ে বেড়ে যায়।
নৌকা তৈরির কারিগর রাসেল ও ইউসুফ জানান, আমরা দুইভাবে কাজ করি, দৈনিক পারিশ্রমিক ও চুক্তি ভিত্তিক হিসেবে।
একজন কারিগর বছরে গড়ে ৮-১০ টি নৌকা নির্মাণ করে থাকেন। এসব নৌকা তৈরি করতে গিয়ে অনেক শ্রম দিতে হয় তাদের। সে তুলনায় শ্রমিকদের মজুরি কিছুটা কম।
নৌকা বা ট্রলার তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন কারিগররা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২১
এনএইচআর