ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কেমিক্যাল ছাড়াই হাতে তৈরি হচ্ছে লাল চিনি

জি এম মুজিবুর, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২১
কেমিক্যাল ছাড়াই হাতে তৈরি হচ্ছে লাল চিনি হাতে তৈরি হচ্ছে লাল চিনি

ময়মসিংহ: উৎপাদন বাড়ছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পলাশতলি গ্রামে ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরি করা লাল চিনির। গুঁড়া পাউডারের মতো দেখতে এই চিনি তৈরি হয় কোনো কেমিক্যাল ছাড়াই।

তাই চিনি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা।  

এই চিনি তৈরি করা হয় ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে। ওই সময় কম দামে লাল চিনি (আখের চিনি) কিনে শুকিয়ে ঢুলিতে (বাঁশের তৈরি বেড়) ভর্তি করে রাখা হয়। আষাঢ় ও শ্রাবণে সেগুলো প্রতি মণ ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার অনেকেই এই ব্যবসা করে বাড়তি আয় করছেন।  

চিনির উপকারিতা

এই লাল চিনি উৎপাদনের পর অপরিশোধিত থাকে। তাই আখের সব গুণাগুণ যেমন ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, শর্করা, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ, অ্যামাইনো অ্যাসিড, জিঙ্ক, থায়ামিন, রিবোফ্লবিন, ফলিক এসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ঠিক থাকে। এজন্য সাদা চিনির চেয়ে লাল চিনির উপকারিতা বেশি।
   
পাইকারি ব্যবসায়ী মো. মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি যখন থেকে ভালো বুঝতে শিখেছি, তখন থেকে এই লাল চিনির ব্যবসা করে আসছি। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চিনি কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে থাকি।

তিনি বলেন, ময়মনসিংহ ও ত্রিশালে ফুলবাড়িয়ার অনেক নারী-পুরুষ এই চিনি কিনে রেখে দেন। কিছু দিন পর ভালো দাম পেলেই আমাদের কাছে বিক্রি করেন। এক মণ হলে কিশোরগঞ্জ ভৈরব, নান্দাইল ও কালিয়াকৈর এবং ঢাকা চৌরাস্তার মতো বড় বড় মার্কেটগুলোতে বিক্রি করে থাকি। এতে আমার প্রতি মণে ৫০০-৬০০ টাকা থাকে। এটা করে অল্প টাকায় অল্প সময়ের মধ্যে মোটামুটি ভালো লাভবান হচ্ছে এই এলাকায় লোকজনেরা।

ফুলবাড়িয়া থানার জঙ্গল বাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, চিনি তৈরির সময় কিনে সেগুলো ৫-৬ মাস আগে মজুদ করে রেখেছিলাম। এখন প্রতি মণে ১০০০-১২০০ টাকা লাভ হচ্ছে। তাই এখন ছেড়ে দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমি এই প্রথম, তবুও মোটামুটি ষাট-পয়ষট্টি হাজার টাকা লাভ পাবো বলে আশাবাদী। আমাদের এলাকায় অনেকেই এই ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়:১৬০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১ 
জিএমএম/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।