সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৯৬ মিটার। গত ৩৬ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৩.৩৫ মিটার)।
কাজিপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৮০ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে (বিপৎসীমা ১৫.২৫ মিটার)।
এদিকে যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ, ফুলজোড়, করতোয়া, ইছামতি ও বড়াল নদীর পানিও বাড়ছে। সব নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চলের ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। এছাড়া নিচু এলাকার বাড়িঘরেও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার অন্তত ৪০টি ইউনিয়নের এক লাখেরও বেশি পরিবার।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, বাড়িতে পানি ওঠার খবর আমরা পাইনি। তবে চরাঞ্চলের প্রায় এক লাখেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকালীন দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সাড়ে ৫শ’ টন চাল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। এছাড়াও উপজেলাগুলোতে মোট ১২৫ টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হানিফ জানান, অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলের ৭ হাজার ৬২ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রোপা আমন, বোনা আমন, আগাম সবজি, আখ বীজতলা ও বাদাম রয়েছে। তবে পানি নেমে গেলে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যাবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী কৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে নদীর অভ্যন্তরীণ নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। আরও দু’একদিন পানি বাড়তে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
এমআরএ