ঢাকা: মায়ের পাশেই বীরের বেশে শায়িত হলেন বিমান বাংলাদেশের পাইলট ক্যাপ্টেন কাইয়ুম ওরফে মিশু। পেশাগত দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে বিমান চালিয়ে অন্তত দুই দফায় তিন শতাধিক যাত্রীর জীবন বাঁচানো ক্যাপ্টেন নওশাদ চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বৃষ্টিস্নাত দিনে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাড়ে ৩টার কিছু আগে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ কবরে নামানো হয়। এর আগে ৩টার কিছু আগে নওশাদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বনানী কবরস্থানের প্রধান ফটকের সামনে এসে পৌঁছায়।
সেসময় বৃষ্টি থাকায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা শেষে মরদেহ বের করে আনা হয়। কবরস্থানে নওশাদের সর্বশেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নওশাদের আত্মীয়, বন্ধুমহল, সহকর্মীসহ প্রায় শতাধিক পরিচিতজন এ জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে দাফনের অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
ক্যাপ্টেন নওশাদ ওরফে মিশুর বাবা ও মা আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। তার সহধর্মিনী ও দুই সন্তান রয়েছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এবং কিছু জটিলতায় দেশে এসে নওশাদের দাফন কাজে অংশ নিতে পারেননি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। তবে তিনি অসুস্থ হলে নওশাদের দুই বোন ভারতে গিয়ে পৌঁছান। নওশাদের মরদেহের সঙ্গে তারাও আজ ঢাকায় এসেছেন।
নওশাদের বাবার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও সাবেক বৈমানিক ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ তার স্মৃতিচারণ করে বলেন, নওশাদের বাবা আর আমি কলিগ ছিলাম। ইন্দিরা রোডের বাসায় থাকতে ওর জন্ম হয়। ওর জন্ম দেখলাম আর আজ কবর দিয়ে গেলাম। খুবই খারাপ লাগছে। ক্যাপ্টেন নওশাদ খুবই মেধাবী পাইলট ছিলেন। সে যখন চাকরিতে প্রবেশ করে তখন আমরাও সার্ভিসে ছিলাম। খুব কাছে থেকেই তাকে দেখেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
এসএইচএস/ওএইচ/