কুমিল্লা:দীর্ঘ দেড় বছর পর সম্প্রতি খুলেছে কুমিল্লার টাউনহল গণপাঠাগার। আগের মতো পাঠক না থাকলেও এখনও কেউ কেউ পাঠাগারে পত্রিকা পড়তে আসেন।
সারাদিনই প্রচুর মানুষের জমায়েত থাকে টাউনহল মাঠে। এর মধ্যে অনেকেই গণপাঠাগারে পত্রিকার টেবিলে ঢুঁ মারেন। চোখ রাখেন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায়।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাঁচটি স্থানীয় ও একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা রয়েছে টেবিলে। এর মধ্যে সবগুলোই পুরনো পত্রিকা। কোনো কোনোটি সপ্তাহখানেক পুরনো। নেই কোনো ইংরেজি দৈনিক কিংবা প্রথম সারির কোনো বাংলা দৈনিক।
টাউনহল গণপাঠাগারে পত্রিকা পড়তে এসেছিলেন কুমিল্লার এক স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। টেবিলে পত্রিকা থাকলেও তিনি ফিরে যাচ্ছিলেন মন খারাপ করে। জানতে চাইলেই বাংলানিউজকে বলেন, পত্রিকাটি আজকের নয়। চার-পাঁচ দিন পুরনো।
সংশ্লিষ্টরা জানান, লকডাউনের আগে টাউনহল গণপাঠাগারে দৈনিক কমপক্ষে আড়াই হাজার পাঠক আসতেন। বর্তমানে তা কমে গেছে। যে কয়েকজন আসেন, তারাও পড়ার কিছু না পেয়ে ফিরে যান।
রোজিনা আক্তার নামে এক পাঠক বাংলানিউজকে বলেন, আমি গতকালও এসেছিলাম। ওইদিনের পত্রিকা পাইনি। লকডাউনের আগে এখানে প্রচুর পত্রিকা আসতো। এখন নতুন কোনো পত্রিকা নেই।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারুক হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বিকেলে টিউশন শেষে এখানে আসি। মাঝে মধ্যে সকালেও এসেছি। এখন আর আসতে ইচ্ছে করে না। কর্তৃপক্ষ পুরনো পত্রিকা রাখে। সব মিলিয়ে বিরক্তিকর সময় কাটে।
জানতে চাইলে কুমিল্লা টাউনহলের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এখানে নতুন-পুরনো পত্রিকা আছে। তবে আমরা এখনও সব পত্রিকা নিতে পারিনি। দ্রুত সব পত্রিকা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
এনএসআর