ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

স্বামীর বাড়ি ফেরা নিয়ে ঝগড়া, ক্ষুব্ধ হয়ে অয়নাকে হত্যা করেন মামুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
স্বামীর বাড়ি ফেরা নিয়ে ঝগড়া, ক্ষুব্ধ হয়ে অয়নাকে হত্যা করেন মামুন

চুয়াডাঙ্গা: প্রবাসী স্বামীর বাড়ি ফেরা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক মামুন মণ্ডলের সঙ্গে মনমালিন্য হয় জেসমিন খাতুন আয়নার। এর জেরে ধরে ক্ষুব্ধ হয়ে ভাগ্নে রাব্বিকে ব্যবহার করে শরবতের মধ্যে চেতনানশক ওষুধ মিশিয়ে আয়নাকে পান করায় মামুন।

এরপর ওইদিন রাতে আয়না জ্ঞান হারালে তার ঘরে ঢুকে ড্রেসিং টেবিলের ওপরে থাকা একটি ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন মামুন।

বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক বিষয়টি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবু তারেক জানান, জেসমিন খাতুন আয়নার স্বামী কুয়েত প্রবাসী হওয়ার সুবাদে তার সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক মামুন মণ্ডলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে দাবিতে মামুন মণ্ডল আয়নাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়েতে আয়না খাতুন অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়। এরই মধ্যে প্রবাসী স্বামী হাবিবুর রহমান হাবিলের দেশে ফেরার খবরে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মামুন। এর জেরে ধরে মামুন ভাগ্নে রাব্বিকে ব্যবহার করে শরবতের মধ্যে চেতনানশক ওষুধ মিশিয়ে আয়নাকে পান করান। এরপর আয়না জ্ঞান হারালে সেদিন রাতে তার ঘরে ঢুকে ড্রেসিং টেবিলের ওপরে থাকা একটি ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন মামুন। এদিকে এ ঘটনায় আয়নার ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান অভিযুক্ত মামুন মণ্ডলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা আবু তারেক বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহটি বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরে পড়ে ছিল। এ থেকে আমাদের সন্দেহ- ওই নারীকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হতে পারে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো পাওযা যায়নি। তাই এখনই এ বিষয়টি নিশ্চিত নয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনার পর থেকেই মাঠে নামে পুলিশ। একদিনের মধ্যেই হত্যার রহস্য অনেকটা উদঘাটন করা হয়। এ হত্যা কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি, চেতনানাশক ওষুধ মেশানো পানির গ্লাস, রক্তমাখা কাপড়, মোবাইল ফোন, ঘাতকের স্যান্ডেল ও লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন যাবদপুর গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে নিহতের ভাই আব্দুর রউফ বাদী হয়ে বেশ কয়েক জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।