শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে কৃষি জমিতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে, বন্যার পানিতে শরীয়তপুরের নতুন নতুন এলাকা তুলিয়ে গেছে।
সরেজমিন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর, নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার শতাধিক গ্রামের বাড়ি ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এদিকে, শরীয়তপুরের নড়িয়ার ২২টি, জাজিরার ১৯টি, ভেদরগঞ্জের চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উঠেছে। এছাড়াও আরও আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় শরীয়তপুরের পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সরকারিভাবে যে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলেই ক্লাস শুরু করা যাবে। আমরা সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত আছি।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি এসে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভাঙন কবলিতরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভাঙন ঠেকাতে পদ্মা ও মেঘনা নদীর ভাঙন কবলিত স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
এনটি