ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে বসতঘর বিলীন, মাদরাসা ঝুঁকিতে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে বসতঘর বিলীন, মাদরাসা ঝুঁকিতে

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ২০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একইসঙ্গে অর্ধশত বসতবাড়ি, বাগান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীতে ভাঙনের শিকার হয়েছে।

 

উপজেলার শিরুয়াইল ও নিলখী ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙন বেড়েছে। শিরুয়াইল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কাকৈর এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, বাগান, বসতবাড়ি আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে বিলীন হয়েছে।  

এছাড়া নিলখী ইউনিয়নের চর কামারকান্দি এলাকার ফসলি জমিসহ একটি মাদরাসাও নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে।

ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, শিরুয়াইল ইউনিয়নের পশ্চিম কাকৈর গ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ভাঙনের কবলে হারিয়ে গেছে ফসলি জমি, ৫০টি বসতবাড়ি, মসজিদ, মাদরাসা। ভাঙনের হুমকিতে থাকা পরিবারগুলো নিজেদের ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব এলাকার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে পানি উঠে গেছে।  

এদিকে উপজেলার বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের কলাতলা এলাকায়ও ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ২০ বিঘা ফসলি জমি, অর্ধশত বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পাড় থেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে অন্যান্য পরিবার। এ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করলেও ভাঙন কমছে না বলে জানা গেছে।

নদী ভাঙনের শিকার দাদন সিপাই জানান, পানি বাড়ায় নদী ভাঙন বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে ৫০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

মো. বজলুর রহমান বলেন, গত তিনদিনের ভাঙনে আমার ১০ কাঠা জমির গাছ বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিনই ভাঙছে।

চরকামারকান্দি জামিয়া ইসলামিয়া আশ্রাফুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, মাদরাসাটি এখন নদীর পাড়ে। গত দুইদিনে মাদরাসার ছাত্র হোস্টেল ও কয়েকটি কক্ষ ভাঙনের শিকার হয়েছে। পুরো মাদরাসাটি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

শিরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুরাব উদ্দিন মাতুব্বর বলেন, শিরুয়াইল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে নদী ভাঙন বেড়েছে। এখানে জিও ব্যাগ ফেলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে স্থায়ী বাঁধ দেওয়া হবে এ এলাকায়।

তিনি আরও বলেন, গত এক সপ্তাহে অর্ধশত বসতবাড়ি, পাকা মসজিদ ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের অংশে এরই মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এখানে স্থায়ী বাঁধ দেওয়া হবে। শুকনো মৌসুমে কাজ শুরু হবে। শিবচরের সন্ন্যাসীরচর, বহেরাতলা দক্ষিণ, বন্দরখোলা ও শিরুয়াইল ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।