সিরাজগঞ্জ: ডাক্তার সেজে রোগীকে চিকিৎসাপত্র, ইনজেকশন পুশ ও বিনা সনদে আলট্রাসনোগ্রাম করার অপরাধে খাইরুল আলম (২৯) নামে এক যুবককে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওই যুবক সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কেয়া হসপিটাল অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের কর্মচারী।
রোববার (৩১ অক্টোবর) গভীর রাতে উল্লাপাড়া পৌর এলাকার শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত ওই হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মওদুদ আহমেদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নানা অনিয়মের অভিযোগে রাতে ওই হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকলেও খাইরুল আলম নামে এক কর্মচারী নিজে ডাক্তার সেজে রোগীদের পরীক্ষা, ইনজেকশন পুশ, আলট্রাসনোগ্রাম করা এবং চিকিৎসাপত্রে বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন প্রয়োগ করছিলেন। পরে খাইরুল আলমকে দুই মাসের কারাদণ্ড ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদত হোসেন মাহবুবকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২১
আরএ