বরিশাল: বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত ৭০ যাত্রী।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এসব রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের বার্ন ইউনিট বন্ধ, সার্জারি ইউনিটে তাদের স্বজনদের ভর্তি করা হয়েছে।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত সবারই চিকিৎসা বর্তমানে সার্জারি ওয়ার্ডের ফ্লোরে চলছে।
আলামিন নামে এক রোগীর স্বজন জলিল উদ্দিন বলেন, কোনো রকম মলম দিয়ে চিকিৎসা চলছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসকও নেই এখানে। ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সরাই ভরসা এখন।
সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মিজানুর রহমান জানান, লঞ্চ দুর্ঘটনায় আসাদের ৫ তলায় পুরুষ সার্জারি, তিন তলায় মহিলা সার্জারি ও দ্বিতীয় তলায় শিশু সার্জারিতে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের নার্স রবিউল ইসলাস জানিয়েছেন, বার্ন ইউনিটটি চালু না থাকায় অগ্নিদগ্ধ রোগীদের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মার্চ হাসপাতালের নিচতলায় আটটি শয্যা নিয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ চালু করা হয়েছিল। বিভাগে আটজন চিকিৎসক ও ১৬ জন নার্সের পদ রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিটটি ৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। চালু থাকা পাঁচ বছরে প্রায় পাঁচ হাজারেরও অধিক রোগী বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত বছরের এপ্রিল মাসে শেবাচিমের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ আজাদের মৃত্যুর পর থেকেই কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বার্ন ইউনিটটি। সর্বশেষ ওই বছরের ১৫ মে থেকে ইউনিটটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, অগ্নিদগ্ধ যেসব রোগী আছেন তাদের সার্জারি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এমএস/আরবি