নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ লঞ্চঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় তিনদিন হলেও নিখোঁজ ৮ জনের খোঁজ মেলেনি। উদ্ধার অভিযানেও নেই গতি।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্বজনরা ঘাট এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন এবং নদীপথে সব যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
এর আগে ৫ জানুয়ারি সকালে একটি লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৮ জন নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় বুধবার ট্রলারকে ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটি ও এর মাস্টার, ইনচার্জ ও সুকানিকে আটক করে নৌ-পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ট্রলারডুবির ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের নৌনিরাপত্তা বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য। মামলায় আসামি করা হয়েছে মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০)।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ কাউকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধান পেতে নদীর তীরে অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা।
নিখোঁজ ৮ জন হলেন- কিশোরগঞ্জের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), রেকমত আলীর ছেলে মোতালেব (৪২), চর বক্তাবলী এলাকার রাজুর ছেলে সাব্বির (১৮), মধ্য চরের সোহেলের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩২), সোহেলের ছেলে তামীম খান (৮), মেয়ে তাফসিয়া (২), তাসমিম ওরফে তাসলিমা (১৫) ও আওলাদ (২৮)।
বক্তাবলী নৌ-ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্দুল মতিন বলেন, ক্ষুদ্ধরা ট্রলার ও নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। সকাল থেকে তারা বিক্ষোভও করেছেন। এখনো উদ্ধার কাজ শেষ হয়নি, নিখোঁজ কাউকে উদ্ধারও করা যায়নি।
আরও পড়ুন:
ফতুল্লায় লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ১০
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবি, ৩ জনের রিমান্ড আবেদন
লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবি, লঞ্চসহ আটক ৪
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২২
জেএইচটি