ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পোশাক খাতে আচরণবিধি প্রণয়নে অংশীজনকে রাখার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
পোশাক খাতে আচরণবিধি প্রণয়নে অংশীজনকে রাখার আহ্বান

ঢাকা: তৈরি পোশাক খাতের জন্য সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগের প্রতি আশাবাদ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে এই কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি এ আহ্বান জানায়।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে- বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নীটওয়্যার প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) যৌথভাবে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য একটি ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্ট বা সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগের সংবাদে আশাবাদ প্রকাশ করেছে টিআইবি।  

কার্যকর একটি আচরণবিধি প্রণয়নে তৈরি পোশাক খাতের কর্মী ও শ্রমিক সংগঠন, নিরাপদ ও অধিকারভিত্তিক কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিতে কর্মরত গবেষণা ও সামাজিক সংগঠনসহ সকল অংশীজনকে যুক্ত করার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তৈরি পোশাক খাত নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতে দেশি-বিদেশি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী ভাবমূর্তি সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছে, যদিও এ খাতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জনে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এমন বাস্তবতায় একটি ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্ট বা সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নে এই খাতের শীর্ষ দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ-র যৌথ উদ্যোগ একটি সময়োচিত পদক্ষেপ।

স্থানীয় আইন, বিধি ও নীতিমালা এবং জাতিসংঘের ব্যবসা ও মানবাধিকার সংক্রান্ত নীতি পরামর্শসহ (ইউএনজিপি) ক্রেতাদের কোড অব কন্ডাক্ট এবং থার্ড পার্টি অডিট প্রটোকলসমূহ পর্যালোচনার পাশাপাশি শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও কল্যাণসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সকল অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা গেলে এটি যেমন খাতের কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, তেমনি বিশ্বমঞ্চে একটি উদাহরণও তৈরি করা সম্ভব হবে।

এ ধরণের আচরণবিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে বর্ণিত ‘দায়বদ্ধ ও গণমুখী খাত’ হিসেবে দেশের পোশাক শিল্পকে গড়ে তোলার প্রত্যয় ও নির্দেশকের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ উদ্যোগকে নিছক আনুষ্ঠানিকতা থেকে উত্তীর্ণ করে যথাযথ কার্যকর করে তুলতে হলে এই আচরণবিধি প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় সরকার, শ্রমিক সংগঠন, শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও কল্যাণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্মরত নাগরিক সংগঠন ও গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিসহ সকল অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ- শীর্ষক টিআইবির পূর্ববর্তী গবেষণা প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সকল অংশীজনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে পারলে প্রস্তাবিত আচরণবিধি তৈরি পোশাক খাতে আইন প্রয়োগ, ব্যবসা বান্ধব নীতি সহায়তা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও কারখানার নিরাপত্তা বৃদ্ধি, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, শ্রমিক অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং শুদ্ধাচার চর্চার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো দূর করতে সহযোগিতা করবে।

তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক অধিকার বিশেষ করে মজুরি, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা, ছুটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শ্রমিকের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভয়-ভীতিহীন শান্তিপূর্ণ শ্রম পরিবেশ সৃষ্টি করা; সাব-কন্ট্রাক্টনির্ভর ও ক্ষুদ্র কারখানার কমপ্লায়েন্সের আওতায় আনা, শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডার তৈরি এবং সার্বিকভাবে খাতটিতে সুশাসন নিশ্চিতে তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য একক কর্তৃপক্ষ গঠনের মতো বিষয়গুলো বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হবে বলেও প্রত্যাশা করে টিআইবি।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
ইইউডি/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।