বরগুনা: ঢাকাগামী যাত্রীরা নদী বন্দর ব্যবহার না করেও বিআইডব্লিউটির কর্মকর্তার উপস্থিতিতে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে টিকিটের টাকা।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকাগামী এম.ভি পূবালী লঞ্চটিতে যাত্রীরা ওঠার সময় ঘাট ভাড়া দিয়েই লঞ্চে উঠছেন।
নাব্যতা সংকটের কারণে বরগুনা নদীবন্দরে লঞ্চ না এসে ঢলুয়া এলাকায় নদীর চরে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে লঞ্চ নোঙর করে যাত্রী তোলা হচ্ছে। পল্টন না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে ঢাকাগামী যাত্রীরা। একদিকে দুর্ভোগ অন্যদিকে ঘাটে টিকিট নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক যাত্রী।
স্বাস্থ্যকর্মী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, লঞ্চঘাটে ঘাট ভাড়া নেওয়ার নিয়ম রয়েছে কিন্তু যেখানে ঘাট নেই কিভাবে তারা ঘাট ভাড়া নেয়। এটা যাত্রীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিআইডব্লিউটিএ বরগুনা নদী বন্দর কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে লঞ্চ বরগুনা ঘাটে নোঙর করতে না পারায় পোটকাখালী থেকে যাত্রী উঠিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
টিকিট নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়মে আছে টিকিটের টাকা নেওয়া যাবে এই অস্থায়ী ঘাট থেকে। আপনারা কি বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেব? আগামীকাল থেকে নির্ধারিত জায়গা থেকে লঞ্চ চলাচল করবে যদিও দুই ঘণ্টা পর ছাড়াও লাগে।
বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বাংলানিউজকে বলেন, তারা যেটা করছে এটা অন্যায় কাজ করছে। সরকারের নির্ধারিত ঘাট ছাড়া ঘাটের টিকিট নেওয়া ঠিক না। যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঘাটের ব্যবস্থা না করে এবং নির্ধারিত পল্টন ছাড়া অন্য কোথাও টিকিট নেওয়া হলে এটা অন্যায় কাজ কর্তৃপক্ষের। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
এনটি