ঢাকা: চীনের লিয়াওনিং প্রদেশে অবস্থিত সুদাবাও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (এনপিপি) প্রকল্পের তিন এবং চার নম্বর ইউনিট নির্মাণ করছে রাশিয়া। ইউনিটগুলোতে স্থাপিত হবে সর্বাধুনিক রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর।
বাংলাদেশে নির্মাণাধীন প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও একই রিয়্যাক্টর ও কোর-ক্যাচার স্থাপন করা হয়েছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কোর-ক্যাচার। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ কোনও দুর্ঘটনাকালে (বর্তমানে যার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ) গলিত কোরকে (কোরিয়াম) আবদ্ধ করে ফেলে এই কোর-ক্যাচার। এর ফলে তেজস্ক্রিয় পদার্থের কনটেইনমেন্ট ভবনের বাইরে আসার কোনও সুযোগ থাকে না।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে রুশ-চীন সহযোগিতার একটি অন্যতম প্রকল্প হচ্ছে সুদাবাও এনপিপি।
২০১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে এই প্রকল্পটির তিন এবং চার নম্বর ইউনিট নির্মাণ সংক্রান্ত কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক ইউনিট দু’টির জন্য জেনারেল কনট্র্যাক্ট এবং পারমাণবিক জ্বালানি চুক্তি। এছাড়াও চুক্তির অধীনে রাশিয়া উভয় ইউনিটের ‘নিউক্লিয়ার আইল্যান্ড’ এর নকশা প্রণয়ন এবং এর গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি সরবরাহ, ডিজাইনার এবং ইন্সটলেশন সুপারভিশন এবং যন্ত্রপাতিগুলোর এডজাস্টমেন্ট সুপারভিশন সেবাও প্রদান করবে। তিন নম্বর ইউনিটটি ২০২৭-২০২৮ সালে কমিশনিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দু’টি ইউনিটও নির্মিত হচ্ছে রুশ ডিজাইন অনুযায়ী। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হচ্ছে ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর (প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর স্থাপন সম্পন্ন), যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। প্রতিটি ইউনিটেই থাকছে সক্রিয় এবং কোর-ক্যাচারসহ স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
এসকে/এনএসআর