ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে পায়রা বন্দর: নৌ প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে পায়রা বন্দর: নৌ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পায়রা বন্দরের জন্য দু’টি টাগবোট নির্মাণের লক্ষ্যে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যে লক্ষ‍্য নিয়ে পায়রা বন্দর নির্মাণ করা হয়েছে, সে লক্ষ‍্যে এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। পায়রা বন্দর কয়লাবাহী জাহাজের পাশাপাশি অন্য পণ‍্যবাহী জাহাজ পরিবহন করবে এবং ভবিষ্যতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার ফলে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে, যা দক্ষিণাঞ্চলে আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পায়রা বন্দর ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে ব‍্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। ব‍্যবসা-বাণিজ‍্যের প্রসার ঘটছে। সেখানে জাহাজ নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান, শেখ হাসিনা ক‍্যান্টনমেন্ট, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়, নৌঘাটি নির্মিত হচ্ছে। কুয়াকাটায় পর্যটনের হাব রয়েছে। পায়রায় বিদ‍্যুতের নতুন হাব হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমার পরিধি বেড়ে যাচ্ছে। বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। মোংলা বন্দরের আউটারবারে ড্রেজিং করা হয়েছে,  ইনারবারে ড্রেজিং চলছে। সেখানে নয় মিটারের বেশি ড্রাফটের জাহাজ আসতে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে, সেখানে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এক লাখ টন ওজনের জাহাজ মাতারবাড়ীতে ভিড়তে পারবে। এ বন্দর শুধু দেশে নয়, আঞ্চলিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী এবং খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম শামসুল আজিজ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতান আব্দুল হামিদ।

প্রসঙ্গত, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১৮ মাসে টাগবোট দু’টি নির্মাণ করবে। ৭০ টন বোলার্ড পুল বিশিষ্ট দু’টি টাগবোট নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩৫ কোটি টাকা। টাগবোট দু’টির দৈর্ঘ্য ৩৭.৭০ মিটার, প্রস্থ ১১ মিটার, ড্রাফট ৫.০০ মিটার এবং টনেজ ২৮০ টন। টাগবোট দু’টির প্রতিটিই এককভাবে একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে ভেড়াতে সক্ষম হবে। এছাড়া সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ, বাণিজ্যিক জাহাজকে অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা করা, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজকে টেনে নিরাপদে নিয়ে আসা, উত্তাল সমুদ্রে পাইলট ট্রান্সফারে সহায়তা করাসহ নানা অত্যাবশ্যকীয় কাজে টাগবোটগুলো ব্যবহত হবে। এতে পায়রা বন্দরের ধারাবাহিক সক্ষমতা বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এসকে/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।