কক্সবাজার: কক্সবাজারে টেকনাফের নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে চার কেজি ১৭৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এখন পর্যন্ত দেশের সব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জব্দ করা নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্রিস্টাল মেথ আইসের সর্বোচ্চ চালান এটি।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) টেকনাফ- ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিল মোহাম্মদ ইফতেখার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপ সংলগ্ন এলাকা থেকে আইস ও ইয়াবার এ চালানটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক পাচারকারীদের কাউকে আটক করা যায়নি।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপ সংলগ্ন এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন এবং ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি থেকে দুইটি বিশেষ টহল টিম নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপে অবস্থান নেয়। টহল দল একটি নৌকা মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জালিয়ার দ্বীপের দিকে আসতে থাকে। নৌকাটি শূন্য রেখা অতিক্রম করে কাছাকাছি এসে পৌঁছালে বিজিবির টহল দল তৎক্ষণাৎ নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় নৌকার আরোহীরা বিজিবির চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে নৌকা ঘুরিয়ে মিয়ানমার সীমান্তের দিকে চলে যেতে থাকলে বিজিবি টহল দল সন্দেহভাজন নৌকাটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে নৌকাটি থামানোর চেষ্টা করে। এতে অজ্ঞাতনামা চোরাকারবারিরা নৌকা থেকে লাফিয়ে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যান। পরে বিজিবির টহল স্পিড বোটের সাহায্যে নৌকাটি আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা। নৌকাটি তল্লাশি করে পাটাতনের নিচে একটি বস্তার ভেতরে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় চার কেজি ১৭৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে কোনো চোরাকারবারিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
চোরাকারবারিদের শনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় মাদক বহন এবং পাচারের দায়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এসবি/আরআইএস