ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিবচরে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
শিবচরে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নাহিদ শেখ(২৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পারিবারিক সূত্র ও মামলা বিবরণে জানা গেছে, শনিবার ওই ছাত্রী নিজ বাড়ি বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মফিতুল্লাহ হাওলাদারকান্দি থেকে বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পথে তার এক বন্ধুর দেখা হলে তারা বিনা কোম্পানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কথা বলতে থাকে। এমন সময় ওই এলাকার বখাটে নাহিদ শেখ ও আল আমিন হাওলাদার একটি মোটরসাইকেলে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েটির বন্ধুকে তাড়িয়ে দেয়।

পরে ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পাশের সন্ন্যাসীরচরের মাদবরকান্দির একটি কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে নাহিদ শেখ তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে এলাকাবাসি এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক বরুন হীরার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে শিবচর থানায় নিয়ে আসে।

শনিবার রাত আটটার দিকে ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে নাহিদ ও আরিফের নামে মামলা দায়ের করেন।

শিবচর থানা সূত্র জানা গেছে, রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাহিদ শেখকে গ্রেফতার করে। তবে আরিফ এখনও পলাতক রয়েছে। নাহিদ শেখ বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মল্লিক কান্দি গ্রামের কাইয়ুম শেখের ছেলে। পলাতক আরিফ হাওলাদার একই গ্রামের তারা মিয়া হাওলাদারের ছেলে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছে। রাতেই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকালে ভিকটিমকে ডাক্তা পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।