পাথরঘাটা, (বরগুনা): স্বামী ঘাট শ্রমিক, কোনোমতে দিন আনে দিন খায়। দিন শেষে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই সংসার চলা দায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রুবির পিঠের পেছন, দুই হাত ঝলসে গেছে। কোন কাপড় গায়ে রাখতে পারছে না তিনি। ক্ষতগুলোতে মশা-মাছির আনাগোনা রয়েছে।
রুবি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ২৫ দিন আগে রান্না ঘরে কাজ করেছিলেন। গায়ের ওড়নায় পেছন থেকে চুলার আগুন ধরে যায়, মুহূর্তের মধ্যেই শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পানি দিয়ে আগুন নেভায়। তার আগেই পিঠের পুরো অংশ এবং দুই হাত ঝলসে যায়। তাৎক্ষণিক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু দিনমজুর স্বামীর অভাবের কারণে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
রুবির প্রতিবেশ মো. বাদশা বলেন, খুব কষ্টে দিন যায় তার। দিনমজুর স্বামীর উপার্জনে কোনোভাবে চলে। এর মধ্যে এত বড় বিপদ। দুর্ঘটনার পর অনেক চিকিৎসা করানো হয়েছে। এলাকাবাসীর সহায়তাও করছে। কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘সাদাকাহ’ সংগঠনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা পেয়ে ওষুধ কিনেছে।
পাথরঘাটা পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, পরিবারটি খুবই অসহায়। হঠাৎ এমন বিপদ তার পরিবারের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। উন্নত চিকিৎসা করাতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন। আমরা এলাকাবাসী সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছি।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার খালিদ মাহমুদ আরিফ বলেন, তার পিঠের পুরো অংশ ঝলছে গেছে। দুই হাতের অর্ধেক অংশ ঝলছে যায়। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
এএটি