সিলেট: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধসহ সব ক্ষেত্রেই সমন্বয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পারস্পরিক যোগাযোগ, শ্রদ্ধাবোধ ও সহযোগিতার মাধ্যমে এই সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে।
রোববার (১৩ মার্চ) সিলেট মহানগরের মেন্দিবাগে একটি অভিজাত হোটেলে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী সমন্বয়কে সংস্কৃতিতে পরিণত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সমন্বয়হীনতার কারণে অনেক কিছু করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ভবিষ্যত বংশধরদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুই প্রথম আইন হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। আমাদের দায়িত্ব এ আইন বাস্তবায়ন করা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আধুনিক, পরমতসহিষ্ণু, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে মাদক নির্মূল বিশ্বের কোথাও সম্ভব হয়নি; কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে।
কর্মশালার উদ্বোধন পর্বে সভাপতিত্ব করেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো মোকাব্বির হোসেন, ডিআইজি অব পুলিশ মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও এসএমপি কমিশনার মো নিশারুল আরিফ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সবুর মণ্ডল পিএএ।
বিশেষ অতিথি সচিব মো মোকাব্বির হোসেন বলেন, আমরা স্বর্ণযুগ পার করছি; কিন্তু মাদকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে একটি কর্মক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠীতে পরিণত হবো।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশে পৌঁছাতে মাদকনিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।
এরপর ছিল কর্মপরিকল্পনা নিয়ে দলীয় আলোচনা ও উপস্থাপনা। নিজ নিজ দলের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদসহ অন্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০১১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এনইউ/এমজেএফ