ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

অথরিটি থেকে এজেন্সি হচ্ছে এটুআই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
অথরিটি থেকে এজেন্সি হচ্ছে এটুআই

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পটিকে (এটুআই) স্থায়ী কাঠামো দিতে অথরিটি বাদ দিয়ে এজেন্সি যুক্ত করে করতে যাচ্ছে সরকার।  
এ লক্ষ্যে অথরিটি টু ইনোভেশন (এটুআই) আইন ২০২২ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরষদ সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশ যেহেতু মধ্যম আয়ের দেশ হচ্ছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমাদের একটা এজেন্সি টু ইনোভেইট আইন ২০২২ প্রণয়ন করা প্রয়োজন। মূলকথা একটা এজেন্সি হবে আর কি। এখানে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবেন, এর সভাপতি থাকবেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। এজেন্সির একজন প্রধান নির্বাহী থাকবেন। ওপেন মার্কেট থেকে তাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে। তার যে, মূল কাঠামোটা হবে, সেখানেও পিএইচডি ডিগ্রি লাগবে, বাইরের মাস্টার্স ডিগ্রি লাগবে। আইটিতে, বা আইটি বিজনেস বা সল্যুশনে।  

তিনি বলেন, এই ধরনের অফিসার যারা থাকবে, তাদেরকেও উনারা ফিক্সড করে নেবেন। একটা সার্টেইন রেঞ্জে বেতন ফিক্সড করে নিয়ে নেবেন। এজেন্সি স্বায়ত্তশাসিত থাকবে, স্বনির্ভর থাকবে। তাদের বাজেট, টাকা পয়সা সে ব্যাপারে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে।

এজেন্সির কাজ কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জনবান্ধব সেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশ এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা। আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী যেকোনো কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ। বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের অগ্রসর প্রযুক্তি সম্পর্কিত দক্ষতা উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রণোদনা এবং জনসচেতনতা ও চাহিদা সৃষ্টিতে সহায়তা প্রদান। জনকল্যাণে প্রযুক্তি বিষয়ক উন্নত গবেষণা পরিচালনা এবং গবেষণায় উদ্ভাবিত পণ্য ও সেবার মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সহায়তা করা।

তিনি বলেন, আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, শিল্প, শিক্ষা ব্যবস্থা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশাসহ দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমের অথরিটিকে বৈশ্বিক মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠাকরণ। এমনিতে নর্মালি যে কাজ তারা করে সেগুলো করবে। এদের একটি তহবিল থাকবে। যা এজেন্সি টু ইনোভেইট তহবিল নামে অভিহিত হবে। এজেন্সি তাদের আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ করবে এবং বার্ষিক অডিট করবে সিঅ্যান্ডএজি অডিট করে সরকারের কাছে জমা দেবে। এটুআই প্রকল্পো আর থাকবে না এটা বডি হয়ে যাচ্ছে। একটা সংবিধিবদ্ধ বডি হয়ে যাচ্ছে, যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। ঠিক অটোনোমাসও না, তারা একটি বিজনেস ওরিয়েন্টেড এজেন্সি হবে। প্রধান নির্বাহী মার্কেট থেকে হায়ার করবে। অনেক কোম্পানি যে ধরনের করে। মেইন স্ট্রাকচারে যারা থাকবে, তাদেরকেও যেন সেভাবে হায়ার করে। ভালো লোকজন আসবে।

এজেন্সিতে সরকারের প্রভাব থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের একটা ব্যাপার তো থাকবে। তাদের অডিট হবে। মিনিস্টার সাহেবরা থাকবেন। তাদের আরও বেশি লিবার্টি থাকবে। তারা তাদের বোর্ডের মধ্যে এপ্রুভ করে কাজগুলো করে নেবেন। তারা এপ্রুভ করে বাইরে থেকেও ফান্ড নিতে পারবে।

বর্তমান প্রকল্প থেকে লোকবল নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে খন্দকার আনোরুল ইসলাম বলেন, এটা তারা দেখবে। কারণ, অ্যাপিলেট ডিভিশনের একটা রায় আছে, ১৯৯৭ সালের পরের প্রজেক্টের লোককে রেভিনিউতে নেওয়া যাবে না। কিন্তু যখন অথরিটি হবে, তখন তারা দেখবে ওদের ওখানে কীভাবে করবে। সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে। কেবল মন্ত্রণালয় কেন, বাইরের কাজের সঙ্গেও সম্পৃক্ত থাকতে পারবে। অনেক টাকা-পয়সা আয় করতে পারবে। ভালো একটা আয়ের উৎসও হতে পারে। নিজস্ব ফান্ডই হয়ে যাবে কয়েক বছরের মধ্যে। ভালো আয় করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। মূল স্ট্রাকচারটা তারা উন্মুক্ত মার্কেট থেকে নিয়ে নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।