ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে শিশু হত্যা, বাবা আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে শিশু হত্যা, বাবা আটক

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে আড়াইমাস বয়সী একটি শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে আটক করা হয়।  

নিহত শিশু ইকবাল হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার আঠারোখাদা গ্রামের ইখলাছ উদ্দিনের ছেলে।

ইখলাছ উদ্দিন দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাঝেরপাড়ার পলাশ উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন।  

এর আগে, সকাল ৮টার দিকে মাঝেরপাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। অসুস্থ হয়ে পড়লে সকালেই শিশু ইকবালকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। সেখানে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশুটি। সন্ধ্যায় খবর পেয়ে আঠারোখাদা গ্রামে পৌঁছে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শিশু ইকবালের মা মিতালী খাতুনের অভিযোগ, আমার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহের কারণে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। প্রথম স্ত্রীর কোন সন্তান না হওয়ায় গত ৪ বছর আগে ইখলাছ আমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তিনি আমাকে সন্দেহ করতে থাকেন। পরে আমাদের কোলজুড়ে আসে এক ছেলে সন্তান। ওই ছেলে তার নয় বলে জানায় ইখলাছ।  

তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে বাড়ির কাজ করছিলাম। সেসময় ইখলাছ ছেলেকে কোলে নেয়। হঠাৎ সুস্থ ছেলে কেঁদে ওঠে। পরে গিয়ে দেখি আমার ছেলের বাম পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। জানতে চাইলে ইখলাছ বলে, টিকা দেওয়ার স্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার জানায়, টিকা দেওয়ার স্থান থেকে কোন রক্ত বের হয়নি। ছেলের বাম পায়ের অন্য স্থানে একটি ইনজেকশন পুশ করার চিহ্ন রয়েছে। সেখানে ফুলে গেছে। আমার ছেলেকে বাম পাশে বিষ মিশ্রিত ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হয়েছে।  

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, দুপুরে শিশুটিকে আমার কাছে নিয়ে আসা হয়। তখন শিশুটির অবস্থা খারাপ ছিল। শিশুটির খিচুনি হচ্ছিল। তার মা বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগ করছিলেন। শিশুটির বাম পায়ে একাধিক ইনজেকশন পুশের চিহ্ন ছিল। শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে রেফার্ড করা হয়। তবে, শিশুটির পায়ে কোন ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। বেঁচে থাকলে রক্ত পরীক্ষা করে বলা যেত। তার আগেই তো শিশুটি মারা গেল।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় খবর পেয়ে আঠারোখাদা গ্রামে পৌঁছে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে শিশুটির বাবা ইখলাছকে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ