ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

গাংনীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২২
গাংনীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ 

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়িয়া গ্রামে সেলিনা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
সেলিনা খাতুন গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়িয়া গ্রামের রাইমনতলা পাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াহেদের স্ত্রী।

তবে, অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াহেদ তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমার স্ত্রী সেলিনা খাতুন আমার প্রতিবন্ধী শিশু ছেলে নাহিদ হোসেন (৯) এর হাতে নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিনা খাতুন মারা যান।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

নিহত সেলিনা খাতুনের ভাই মহিবুল ইসলাম অভিযোগ করেন আমার বোনকে তার স্বামী গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার প্রতিবন্ধী ছেলের দোষ দিচ্ছে। প্রতিবন্ধী নাহিদ নিজে নড়াচড়াও করতে পারে না বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, ধর্মচাকি গ্রামের চেংগাড়া পাড়া এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে সেলিনা খাতুনের সঙ্গে ১৩ বছর আগে সহড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের বিয়ে হয়। ১৩ বছরে তার দুটি সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে অনামিকা বর্তমানে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ছেলেটি প্রতিবন্ধী।

সেলিনা খাতুনের বড় ভাই আরো জানান, ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ওয়াহেদে আমাকে খবর দেন আপনার বোন অসুস্থ। আমি গাংনী হাসপাতালে গিয়ে দেখি বোনের গলায় ফাঁস লাগানোর চিহৃ রয়েছে। হাসপাতালে তাকে ভর্তি না নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এই কয়দিন সেখানেই আইসিউউতে রেখে চিকিৎসা চলছিল। আজকে মারা যায় সেলিনা।

তিনি আরো বলেন, প্রথম দিন থেকেই আমার বোন জামাই আব্দুল ওয়াহেদ অসংলগ্ন কথা বলে আসছেন। আমাদের ধারণা তাকে হত্যা করেছে তার স্বামী। এ বিষয়ে গাংনী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে নিহত সেলিনার স্বামী আব্দুল ওয়াহেদ জানান, আমি ও আমার স্ত্রী সেলিনা খাতুন একসঙ্গে রাতের খাবার খাই। এরপর আমি তামাক ঘর কাজ করতে যাই। পরে রাতে ১২ টার দিকে এসে দেখি আমার স্ত্রী সেলিনা খাতুন অজ্ঞান অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে আছে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তারপরেও আমি অফিসার পাঠিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। আর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ