ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সাবেক এমপি বদি এবার পেটালেন দলের নেতা-কর্মীদের!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
সাবেক এমপি বদি এবার পেটালেন দলের নেতা-কর্মীদের!

কক্সবাজার: বিভিন্ন সময়ে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পেশাজীবীদের মারধর করে পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হওয়া কক্সবাজারের টেকনাফের আলোচিত সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি। এবার তিনি পিটিয়েছেন নিজ দল আওয়ামী লীগের তিন নেতা-কর্মীকে।

 

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটেছে।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া ও টেকনাফ) আসন থেকে আবদুর রহমান বদি ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হন। নানাভাবে বিতর্কিত এ সাংসদ গতবার মনোনয়ন বঞ্চিত হন। তবে এ আসনে তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন।  

দলীয় সূত্র জানায়, সম্মেলনকে সামনে রেখে পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ডাকা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌর সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরীর এতে জেলা সাংগঠনিক টিমের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাজা শাহ আলম, যুগ্ম-সম্পাদক রনজিত দাশ ও সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, সভায় নেতা-বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বদি সভা মঞ্চ থেকে নেমে ইউসুফ মনুর উপর চড়াও হন। এ সময় তার ভাই আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি আব্দু শুক্কুর, নুর মোহাম্মদ ওরফে লাস্টিপসহ কয়েকজন সভাস্থলে ঢুকে হামলা শুরু করে। এ ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, বদি নিজেই কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউছুপ মনুকে। এ সময় যুগ্ম-সম্পাদক মো. ইউছুপ ভুট্টো ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হকও হামলার শিকার হন।

ইউছুপ মনু অভিযোগ করেন, বর্ধিত সভায় সাবেক সাংসদ বদি পৌর কমিটির নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করার বিষয়টি উঠে আসে। এতে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে বাহিরে অপেক্ষমাণ তার ক্যাডার বাহিনীকে ডেকে এনে নিজে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর জানান, সবার সামনেই তো ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাবেক এমপি বদি নিজে এসে মারধর শুরু করেন। পরে তার ভাইয়েরা এসে মারধরে অংশ নেন।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ জানান, সামনে টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। এজন্য বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছিল। ইতোমধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিল অধিবেশন শেষ হয়েছে। এ বর্ধিত সভায় ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্বাচিতদের কথা শোনার পর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে ইফতারের সময় হওয়ায় আমরা অন্যত্রে চলে আছি। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের মারধর বিষয়টি জানতে পারি। এ ঘটনায় স্থানীয় একটি হোটেল তাৎক্ষণিক মিটিংয়ে বসে সমাধান করি।

বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
এসবি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।