ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন খুলনার তাজুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন খুলনার তাজুল

খুলনা: মহাকাশ জয় করার স্বপ্ন মানুষের বহু দিনের। অনেকে এ স্বপ্ন পূরণও করেছেন।

মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে চলেছে খুলনায় প্রতিষ্ঠিত একমাত্র আইটি প্রতিষ্ঠান কাসফিয়া আইটি।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রধান মো. তাজুল ইসলাম এ সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, এটি একটি গবেষণাধর্মী আইটি প্রতিষ্ঠান, এখানে সিএসই সম্পর্কে গবেষণা করা হয়। বর্তমানে এখানে কিছু গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেমন- এআই, রোবোটিকস, স্যাটেলাইট, মহাকাশের ওপর। ডিজাইন পর্যায় শেষ হয়েছে এবং ল্যাবরেটরির ইকুইপমেন্ট প্রস্তুতের কাজ চলছে। ল্যাবরেটরি বানানো বড় একটি কাজ। যদি বড় বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসেন তাহলে, এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ আরও ভাল হবে।

প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। সরকারি নিবন্ধিত হয়েছে পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে। ব্যক্তির হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটি শুরু হলেও পরবর্তীতে এটি কোম্পানিতে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটিতে ১০ জন আইটি বিশেষজ্ঞ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। এই প্রতিষ্ঠানের কিছু উপদেষ্টামন্ডলী রয়েছেন। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ১ শিক্ষক এবং ঢাকার ২জন আইডি বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।

বর্তমানে খুলনা মহানগরীর গগন বাবু রোডে কাসফিয়া আইটি’র অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে খুলনা থেকে এর কাজ শুরু করেছি। ভবিষ্যতে এর কার্যক্রম জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়বে। শীঘ্রই ঢাকা ও চট্টগ্রামে অফিস দিতে চাচ্ছি। এছাড়াও পরবর্তীতে দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে আমাদের শাখা অফিস দেওয়ার ইচ্ছা আছে।

উচ্চ শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানের দ্বারা গবেষণাধর্মী কাজে উপকৃত হবে। নাসার মতো ল্যাবটি আমরা আন্তর্জাতিক মানের করতে চাচ্ছি। বর্তমানে এখানে কৃত্রিম মেঘ থেকে বৃষ্টি তৈরির কার্যক্রম চলছে এবং ২০২৭ সাল নাগাদ আমরা টার্গেট নিয়েছি বুধ অথবা চাঁদে পরীক্ষামূলক একটি স্যাটেলাইট পাঠানোর। এই কার্যক্রম আসলে অনেক ব্যয়বহুল। তবে বর্তমানে ল্যাব উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে বেশি। ল্যাবরেটরি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিকভাবে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার প্রয়োজন। এখানে বর্তমানে কিছু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী রয়েছেন। এছাড়াও বড় ধরনের বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিনিয়োগকারী তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, মো. তাজুল ইসলাম কম্পিউটার সায়েন্স এবং টেকনোলজি নিয়ে বিএসসি ও এমএসসি করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখান থেকে তিনি পিএইচডিও করেছেন। তিনি বর্তমানে খুলনায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম পুর্ণাঙ্গ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
এমআরএম/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।