ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জানি না শেষ পর্যন্ত টিকিট পাবো কিনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
জানি না শেষ পর্যন্ত টিকিট পাবো কিনা

ঢাকা: ঈদ যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনে কমলাপুর রেল স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়। আগামী ৩০ এপ্রিলের টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা।

যাত্রীদের অভিযোগ, প্রথমতো অনলাইনে টিকিট কিনতে সার্ভারে প্রবেশ করাই কষ্টসাধ্য। অনেক চেষ্টার পর প্রবেশ করতে পারলেও মিলছে না টিকিট। অনলাইনে অর্ধেক টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও বিক্রি শুরু হওয়ার ৫-১০ মিনিটেই শেষ হয়ে যাচ্ছে সব টিকিট।

এ অবস্থায় অনেকে অনলাইনে টিকিট কাটতে ব্যর্থ হয়ে স্টেশনে এসে টিকিটের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। লাইনে দাড়িয়েও অনেককে অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। এদিকে, কাউন্টারেও টিকিট বিক্রির ধীরগতির অভিযোগ করেছেন অপেক্ষারতরা।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) চতুর্থ দিনের মতো ট্রেনে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এদিন কমলাপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। যাদের অনেকেই গতকাল রাত থেকে বা আজ ভোর থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আমিনুল ভোরে কমলাপুরে এসে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ৩০ এপ্রিল রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য তার অপেক্ষা।

তিনি বলেন, লাইনে এসে দাঁড়িয়েছি ভোরে, টিকিট বিক্রি শুরু হতেই লাইনে থেকেই অনলাইনে টিকিট কেনার চেষ্টা করেছি। অনেক চেষ্টা করেও প্রথমে সার্ভারেই ঢুকতে পারিনি, ১৫-২০ মিনিট পর ঢুকতে পারলেও দেখি টিকিট শেষ। অনলাইনে অর্ধেক টিকিট দিলে এতো টিকিট যাচ্ছে কোথায়?

তিনি আরও বলেন, ভোরে এসেও লাইনে দাঁড়িয়েছি একেবারে স্টেশনের নিচে অনেক দূরে। সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত একটু একটু করে অর্ধেকের মতো এসেছি। জানি না শেষ পর্যন্ত যেতে যেতে টিকিট পাবো কি-না।

রায়হান নামে একজন ৩০ তারিখে খুলনার টিকিটের জন্য লাইনে অপেক্ষা করছেন। পরিবারসহ তিনজনের টিকিট কাটতে প্রথমে অনলাইনে চেষ্টা করেছেন। ব্যর্থ হয়ে কমলাপুরে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি বলেন, অনলাইনের আশায় বসে থেকে পেলাম না। এখন এসে এতো লম্বা লাইনের পেছনে পড়েছি, জানিনা টিকিট পাবো কি-না। অনলাইনে টিকিট পাওয়া যায় না, আর এখানে এসে দেখি লাইন সামনে আগায় না। তারপরেও টিকিট পেলে অন্তত পরিবার নিয়ে বাড়িতে সবার সঙ্গে ঈদ কাটাতে পারবো। আড়াই ঘণ্টায় ১০ হাতও সামনে যেতে পারিনি।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, আন্তনগর, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন মিলিয়ে প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ঢাকা ছাড়তে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বাড়তি চাপ বিবেচনায় আন্তনগর ট্রেনে অতিরিক্ত বগি, ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সব ঘরমুখী মানুষ যদি ট্রেনে যেতে চান, সবাইকে টিকিট দেওয়া কোনো অবস্থাতেই সম্ভব নয়। যাত্রীর চাহিদার তুলনায় টিকিট সীমিত। নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রীরা যাতে কাউন্টার থেকেই টিকিট পান, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে টিকিট দেওয়ায় কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
পিএম/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।