ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বস্তির ঈদযাত্রা, নির্বিঘ্নে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ

সাগর ফরাজী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
স্বস্তির ঈদযাত্রা, নির্বিঘ্নে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ

সাভার (ঢাকা): আপনজনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন।

তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সাভার ও আশুলিয়ার সড়ক-মহাসড়কগুলোতে গাড়ির চাপ থাকলেও যানজটের কোনো চিত্র দেখা যায়নি। ঈদুল ফিতরের সময়টুকু কাটাতে স্বস্তিতেই এখন পর্যন্ত বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা।

এদিকে ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনে এমন চিত্র থাকায় যানজটের আশঙ্কা করছে পরিবহন ও পুলিশ প্রশাসন। এই নিয়ে ৩০ এপ্রিল ব্যাপক যানজট ও যাত্রীদের চাপ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ও  টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড-ইপিজেড সড়কের কোথাও গাড়ির চাপ নেই বলে জানা গেছে।

আশুলিয়ার বাইপাইল, জিরাবো, নবীনগর ও জিরানিবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলোতে হাতে গোনা লোক আসছেন। দুই-একটি দূরপাল্লা বাস ছাড়াও চলছে পণ্যবাহী পরিবহন। তবে পরিবহন কম থাকার জন্য কিছু কিছু যাত্রী রাস্তার পাশে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন।  

সুমন নামের এক যাত্রী তার পরিবার নিয়ে সিরাজগঞ্জ যাবেন। তার কারখানা বৃহম্পতিবার ছুটি হয়েছে। আজ সকালে তিনি বাইপাইলে বাস কাউন্টারে এসে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসে আছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আজ রাস্তায় গাড়ি নেই তেমন। আবার আমরাও গাড়ি পাচ্ছি না৷ দু-একটি গাড়ি পেলেও ভাড়া অনেক বেশি।  

শেরপুর ট্রাভের্লসে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ যাবেন রোকেয়া বেগম। তিনি গাড়িতে উঠে বসে আছেন। তার সঙ্গে আছে আরও যাত্রী। রোকেয়া বাংলানিউজকে বলেন, আজকে রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা রয়েছে। বাসও সঠিক সময়েই ছেড়ে দেবে৷ কোথাও যানজটে না পড়ে দ্রুত বাড়ি যেতে পারলেই ভালো। এই রোদের ভেতর যানজটে পড়তে হলে গরমে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।

বাসটির চালক মিলন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একটা জিনিস এবার বুঝতে পারিনি। আজ সকাল থেকে এখন পর্যন্ত মানুষই নেই। ঈদে যেখানে বাইপাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমরা রাস্তায় বসে বসে সময় পাড় করি সেখানে আজ মানুষ, পরিবহন তেমন নেই। গাড়ি চালিয়ে আরামে যাওয়া যাবে।

আলহামরা ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এবার গার্মেন্টসগুলো ছুটিতে একটু সমস্যা হয়েছে মনে হয়৷ আজ দুপুর পর থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে৷ এছাড়া আগামীকাল সড়কে পা ফেলারও জায়গা নাও থাকতে পারে৷ কারণ সব মানুষ ৩০ তারিখই বাড়িতে যাবেন।

বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) খসরু পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল রাতে হঠাৎ করে কিছু সময়ের জন্য গাড়ির চাপ বেড়ে গিয়েছিল। আজ সকাল থেকে কোনো চাপ নেই। গাড়িগুলো সুন্দরভাবে যাতায়াত করছে। ধারণা করছি আজ দুপুরের পর থেকে গাড়ির চাপ বাড়বে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে অতিরিক্ত পুলিশও রয়েছে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঈদে বাড়ি যেতে পারবেন রাজধানীর উত্তরবঙ্গের মানুষ।

সাভার হাইওয়ে পুলিশে পরিদর্শক (ওসি) আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত দুই দিন থেকেই সড়কে আমাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কোথাও এলোমেলো ভাবে যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক ইউটার্ন পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ যেন পরিবহনগুলো ইউটার্ন নিতে গিয়ে যানজট সৃষ্টি না করতে পারে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
এসএফ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।