ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মা সেতু

ভিক্ষুক-বেদেদের অর্থ আদায়, অস্বস্তিতে পর্যটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২২
ভিক্ষুক-বেদেদের অর্থ আদায়, অস্বস্তিতে পর্যটক ছবি: ডিএইচ বাদল 

ঢাকা: বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু দর্শন ও একইসঙ্গে প্রমত্তা পদ্মা সেতু ও নদী দর্শনে পর্যটকের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু পদ্মা সেতু সংলগ্ন ফেরিঘাট এলাকায় ভিক্ষুক-বেদেরা নানাভাবে অর্থ আদায় করায় অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘুরতে আসা পর্যটকদের।

 

একই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন শিমুলিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে পারপার হওয়া যাত্রীরা।

ঢাকা থেকে সপরিবারে ঘুরতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদী ও সেতু একই সঙ্গে দেখতে এখানে আসা। কিন্তু এখানে আসার দশ মিনিটের মধ্যে ১০ জন এসে টাকা চাচ্ছে। শান্তি ও স্বস্তিতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ না থাকলে পর্যটক বাড়বে না।

যদি বিদেশি পর্যটকেরা এরকম পরিস্থিতিতে পড়ে পদ্মা সেতু দেখতে এসে, তাহলে সেটা আরো দৃষ্টিকটু হবে বলে মনে করেন শহিদুল ইসলাম।

ঢাকা থেকে শরীয়তপুর যেতে ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় ছিলেন শাহীন ব্যাপারী।  

তিনি বলেন, ৫ মিনিট চা খেতে বসেছি কিন্তু এর ভেতরেই কয়েকজন সামনে দাঁড়িয়ে টাকা নেওয়ার জন্য চলে এসেছে। টাকা না দিলে নাছোড়বান্দার মতো বিরক্ত করছে। এতো বেদে-ফকির কোথাও দেখিনি।

এখানে ভিক্ষা করছিলেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মধ্যকানী গ্রামের বয়োবৃদ্ধ সূর্য বেগম। তিনি কেন ভিক্ষা করছেন প্রশ্নের জবাবে জানান, তার ছেলে-স্বামী নেই, মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। এখন একা মানুষ ভিক্ষা করে খান।

সরকারি সহয়তা পান কিনা জিজ্ঞেস করলে বলেন, মিথ্যে কথা বলবো না। সহয়তা পাই, তবে ৬ মাস পরপর। এজন্য ভিক্ষা করে খাই বাকি সময়।

তবে এসব বয়স্ক ফকিরদের চেয়ে বেদের ভিক্ষা চাওয়ার ধরন আক্রমণাত্মক। টাকা না দিলে পথ আটকে রাখে। এদের এমন আচারণ কেন জানতে চাইলেও কেউ জবাব না দিয়ে সরে পড়ে যখন বাংলানিউজের ক্যামেরাম্যান ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন।

এখানকার ব্যবসায়ী সাজু ব্যাপারি বলেন, ভিক্ষুক, বেদে আর পথশিশু মিলে এখানে কয়েকশ মানুষ আছেন, যারা এখানে আসা পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীদের কাছে টাকা তুলে অর্থ আয় করে।

তবে এ সম্পর্কে কোনো পর্যটক এখনো অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন লৌহজং থানার ডিউটি অফিসার এসআই বিল্লাল।  

তিনি আরো বলেন, আপনারা যেহেতু এ ধরনের ঘটনা দেখেছেন আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব। আসলে এ এলাকায় বেদে পল্লী আছে, সেজন্য একটু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে হয়তো। তবে পর্যটকদের জন্যে ভোগান্তির হলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২২
জিসিজি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।