শেরপুর: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ১০ ফায়ার সার্ভিসকর্মীর মধ্যে ছিলেন শেরপুরে সন্তান রমজানুল ইসলাম রনি (২৫)।
তিনি শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের বালুঘাটা গ্রামের দলিল লেখক আকরাম হোসেন আঙুরের বড় ছেলে।
ফায়ার সার্ভিস ও নিহত রনির পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যান রনি। ওই সময় বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। তার মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে রনির বাবা আকরাম হোসেন আঙুর, মা কামরুন্নাহার রত্না ও চাচা আবুল কাশেম চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
রনির চাচা স্থানীয় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জামান মিয়া বাংলানিউজকে জানান, রনি গত দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগ দেন। গত তিন মাস আগে তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বদলি হন। এরপর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকতেন। রমজানের ছোট ভাই তারিকুল ইসলাম রকিব ময়মনসিংহের একটি কলেজে ডিগ্রিতে পড়াশোনা করেন।
তিনি জানান, শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে বাসা থেকে গেঞ্জি পরেই বেরিয়ে যান রনি। এরপর থেকে রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাকে মোবাইল ফোনে কল করে না পাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে রনির গেঞ্জি দেখে তার মরদেহ শনাক্ত করেন স্ত্রী রূপা খাতুন।
এদিকে তার এই আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বাড়িতে ছুটে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনরা। তাদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
আরআইএস