ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

২৫ বছরের পুরনো সড়কের মাটি কেটে বিক্রি, ৩০ পরিবার অবরুদ্ধ!

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ফরিদপুর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
২৫ বছরের পুরনো সড়কের মাটি কেটে বিক্রি, ৩০ পরিবার অবরুদ্ধ!

ফরিদপুর : ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় প্রায় পঁচিশ বছরের পুরনো একটি সড়কের মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের চলাচলের এ পুরনো সড়কটি কেটে ফেলায় দুর্ভোগে পড়েছে সেখানকার প্রায় ত্রিশ পরিবার।

জানা গেছে, উপজেলার ডাংগী ইউনিয়নের আটাইল গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (৫৫) সম্প্রতি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে স্থানীয়দের চলাচলের সড়কের মাটি বিক্রি করে দেন। এতে পথ বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসী মনে।

স্থানীয়রা জানান, পুরনো সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাতায়াত করে। স্থানীয়রা হাটবাজারে কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করে। এছাড়া এখানকার প্রায় ত্রিশটি পরিবারের লোকজন এ পথ দিয়ে চলাচল করেন। হটাৎ সড়কটি কেটে ফেলায় তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ভুক্তভোগী বাসিন্দা আলমাস মিয়া (৫৫) বলেন, গত ২৫-৩০ বছর আগে সম্মিলিতভাবে আমরা সড়কটি নির্মাণ করি। প্রায় ত্রিশটি বাড়ির লোকজন ও আমাদের আত্মীয় স্বজনরা এ পথ দিয়ে চলাচল করে। হটাৎ করে সিরাজ মিয়া আমাদের হাঁটাচলার রাস্তাটি কেটে ফেলায় কঠিন বিপদে পড়েছি। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদ মিয়া বলেন, মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা কোনো ভালো কাজ নয়। সড়কটি কেটে ফেলার কারণে এখানকার মানুষ বিপদে পড়েছে। কিছুদিন পর বন্যায় এই জায়গায় কোমর সমান পানি হবে তখন বিপদ আরও বাড়বে।

পার্শ্ববর্তী জমির মালিক এরোন মোল্লা (৪৯) বলেন, মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে আমি আমার জমির কিছু অংশ ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু সিরাজ মিয়া হঠাৎ করে আমার জমিসহ রাস্তার মাটি বিক্রি করে দিয়েছে। এটি কোনো ভালো মানুষের কাজ নয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে সিরাজ মিয়া বলেন, আমার জায়গার মাটি আমি কেটেছি তাতে সমস্যা কোথায়? বরং আমার পুকুরে মাছ চাষের সুবিধার্থে রাস্তা নির্মাণ করেছিলাম, এখন প্রয়োজন নাই তাই কেটে দিয়েছি।

ডাংগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, স্থানীয় কয়েকজন আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি এ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের চলাচলের জন্য সুব্যবস্থা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ২৮ জুন, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।