ঢাকা, রবিবার, ২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ জুন ২০২৪, ০৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ভারত সফরে আন্তরিকতার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
ভারত সফরে আন্তরিকতার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন

ঢাকা: ভারত সফরে দেশটির রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সবার আন্তরিকতার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে সদ্য সমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথেষ্ট আন্তরিকতা আমি পেয়েছি। শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, প্রেসিডেন্ট বা অন্যান্য যাদের সাথে আমার কথা হয়েছে তাদের আন্তরিকতা সব সময় ছিল, আছে। বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের সব রাজনৈতিক দল, মত এক থাকে, এটা হলো বড় কথা।

তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশ, তাদের সাথে অবশ্যই সুসম্পর্ক থাকবে। এটা বাস্তব যে, পাশাপাশি দেশের সাথে নানা সমস্যা থাকতে পারে। আমি সব সময় মনে করি, এই সমস্যাগুলো সব সময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্তরিকতার কোনো অভাব আমি দেখিনি। আপনি যদি নিজে ভালো বন্ধু হন, তো সবাই ভালো থাকবে। আর যদি নিজে একটু এদিক-ওদিক করেন তখন তো অবশ্যই ভালো থাকে না তাই না? আমাদের তো পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়। একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর আমরা কিন্তু এটা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলছি। কেউ আমাদের বলতে পারবে না এ শত্রু, ও বন্ধু তা নয়, আমরা সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই একে একে সকল সমস্যার সমাধান করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী পেলাম প্রশ্নটা খুব আপেক্ষিক। এটা হচ্ছে আপনার নিজের ওপর নির্ভর করছে। আপনি কীভাবে দেখছেন। ভাগ্যিস প্রশ্ন করেননি কী দিলাম! বাংলাদেশের যে ভৌগলিক অবস্থান, আপনি একটু লক্ষ্য করবেন, চারদিকে কিন্তু ভারত, একপাশে একটুখানি মিয়ানমার, তারপরেই তো বে অফ বেঙ্গল। বন্ধুপ্রতিম দেশ থেকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য অথবা আমাদের কৃষি আমাদের যোগাযোগ, সব বিষয়ে যে সহযোগিতাটা (পাচ্ছি)। ... এভাবে যদি এক এক করে হিসেব করেন তবে একেবারে শূন্য হাতে আসিনি।

ভারত সফরে অর্জন
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভারত সফরের বেশ কিছু অর্জনের কথা তুলে ধরেন। অর্জনগুলো হলো:
১. কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, যার মাধ্যমে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত।
২. সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা শূণ্যে নামিয়ে আনতে কাজ করতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে।
৩. ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ও অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে।
৪. চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য রফতানি বন্ধের আগে বাংলাদেশকে আগাম বার্তা দিতে ভারত সরকার পদক্ষেপ নেবে।
৫. বাংলাদেশের মুজিবনগর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ঐতিহাসিক ‘স্বাধীনতা সড়ক’ চালু করা হবে।
৬. নদী দূষণ এবং অভিন্ন নদ-নদীর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ এবং নদীর নাব্যতা উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৭. রেলওয়ে সেবার মান বাড়াতে আইটি সল্যুশন বিনিময় করা হবে।
৮. ২০২২ সালের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে দু’দেশের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের কাজ শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
‘সুইস ব্যাংকে পাচারকারীদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল, আসেনি’
সম্পর্ক সুসংহত করে আরও এগিয়ে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন ইস্যুতে সংবিধানের বাইরে যাবে না আ. লীগ: শেখ হাসিনা
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

‘সব কথা বলার পরেও বলে—কথা বলার অধিকার নাই’
 

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
এমইউএম/এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।